ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

যমুনায় ভাঙন বেড়েছে, হুমকির মুখে এনায়েতপুর

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:৫২, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
যমুনায় ভাঙন বেড়েছে, হুমকির মুখে এনায়েতপুর

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে যমুনা নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে নদী ভাঙন। 

নতুন করে এই ভাঙনে কারণে ইতোমধ্যেই বিলীন হয়েছে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি।  হুমকির মুখে পড়েছে চৌহালী উপজেলাধীন দেশের সর্ববৃহৎ এনায়েতপুর কাপড়ের হাট, খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সিং ইনস্টিটিউট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বহু তাঁত কারখানা ও হাটবাজার। 

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এনায়েতপুর গেলে দেখা যায়, ভাঙন আতঙ্কে নদী তীরের মানুষ বসতবাড়ি ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।  আবার ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

আলাপকালে স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরে চার দফা বন্যার পর যমুনা নদীতে পানি কমে গেলেও হঠাৎ করে গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে পানি বাড়তে শুরু করে।  পানি বাড়ার সাথে সাথে এনায়েতপুরে গত দুই দিনে শতাধিক বসতবাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ ও মাদ্রাসা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।  এই থানার ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে।

স্থানীয় প্রবীণ ইয়াসিন প্রামানিক বলেন, ৮০ বছরের জীবনে ৭ বার নদী ভাঙনের কবলে পড়েছি।  ভাঙনে ভাঙনে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।  ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ চাই।  বাঁধ নির্মাণের দাবীতে অনশনে বসেছিলাম।  পানি উন্নয়নের কর্মকর্তারা বাঁধ নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) অনশন ভঙ্গ করান। 

সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ও পাকুরতলা গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান বলেন, গত কয়েকদিনে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  পানি বাড়ার সময় ভাঙন ঠেকাতে জরুরি কিছু কাজ করা হলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে বিশাল এলাকা।  দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হলে অস্তিত্ব বিলীন হবে বৃহত্তম একটি জনপদের।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, কাজীপুরের পাটাগ্রাম এবং এনায়েতপুরের ব্রাক্ষণগ্রাম থেকে কৈজুড়ী পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এলাকা অরক্ষিত।  এই দুটি স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।  ভাঙনরোধে
সাড়ে ১১শ কোটি টাকার দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।  প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।  আশা করছি শুষ্ক মৌসুমে স্থায়ীভাবে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার কোনো কাজ শুরু করতে পারবো।

অদিত্য রাসেল/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়