ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

৫ হাজারে শততম তামিম

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০০, ১৬ জুন ২০২২   আপডেট: ২১:০৮, ১৬ জুন ২০২২
৫ হাজারে শততম তামিম

দ্বিতীয় বাংলাদেশি এবং শততম আন্তর্জাতিক ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ৫ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। মুশফিকুর রহিমের পর এলিট এই ক্লাবে নাম লিখালেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মুশফিক ৯৯তম ক্রিকেটার হিসেবে গত ১৮ মে এই কীর্তি করেছিলেন। এবার তামিম বিরাট অর্জনে নিজের নাম জড়িয়ে নিলেন।

অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪,৯৮১ রান নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তামিম। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ২১ বল খেলেই বাঁহাতি ওপেনার পৌঁছে যান মাইলফলকে। 

আগের দুই ইনিংসেই রানের খাতা খুলতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সেটিই ছিল প্রথম পেয়ার। অ্যান্টিগায় প্রথম বলে শূন্যর ‘ভূত’ তাড়ান তামিম। কেমার রোচের করা ইনিংসের প্রথম বলেই রানের খাতা খোলেন ১ রান নিয়ে।

এরপর সাবলীল ব্যাটিং করেছেন তিনি। কিন্তু সতীর্থরা ছিল আসা-যাওয়ার মিছিলে। পেসার রোচের দুই শিকার মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা। আরেক পেসার সিলস ফিরিয়েছেন মুমিনুলকে। শূন্য রানে ফিরেছেন মুমিনুলও।

চতুর্থ ওভারে সিলসকে মিড উইকেট দিয়ে চার মেরে বাউন্ডারির খাতা খোলেন। পঞ্চম ওভারে রোচকে দুই চার হাঁকান দৃষ্টিনন্দন শটে। প্রথমটি কভার দিয়ে, পরেরটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফ্লিক করে।

সপ্তম ওভারে তামিম পেয়ে যান ৫ হাজার রান। রোচের লেগ স্টাম্পের উপরের বল মিড উইকেটে ফ্লিক করে মাইলফলকে পৌঁছান তামিম। মুশফিকের আগে তামিমেরই এই কীর্তিতে নাম লিখানোর কথা ছিল। কিন্তু ভাগ্যকে তামিম পাশে পাননি।

চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হন তামিম। হাতের পেশিতে টান লাগায় তামিম মাঠে থাকতে পারেননি। একই দৌড়ে থাকা মুশফিক সেঞ্চুরি তুলে তামিমের আগে ৫ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন।

তবে মুশফিকের থেকে কম সময়েই তামিম এই রেকর্ডে পৌঁছেছেন। তামিমের লাগল ১২৯ ইনিংস। মুশফিক খেলেছেন ১৪৯ ইনিংস। 
দুজনের মধ‌্যে এমন প্রতিযোগিতা ক‌্যারিয়ারের শুরু থেকেই। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুজনই সংগ্রাম করেছেন রান পেতে। এরপর থিতু হওয়ার পর দুজনের ব্যাট হেসেছে আপন ছন্দে। নতুন নতুন কীর্তিতে দুজনই সাফল্যে উদ্ভাসিত হয়েছেন।

তামিম হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ১৬ টেস্টে। মুশফিকের লেগেছিল ২০ টেস্ট। দুই হাজার রানে পৌঁছতে তামিমের প্রয়োজন হয়েছিল ২৮ টেস্ট, মুশফিকের ৩৫। পরের হাজার রানের জন্য তামিম ১২ ও মুশফিক ১৮ টেস্ট খেলেন। এরপর ৩ থেকে ৪ হাজারে পৌঁছতে তামিম ১৭ টেস্ট এবং মুশফিক ১৫ টেস্ট খেলেন।

সব মিলিয়ে ৬৮ ম‌্যাচে তামিমের এখন পর্যন্ত রান ৫০০১। ব‌্যাটিং গড় ৩৯.৬৯। সেঞ্চুরি আছে ১০টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১টি। মুশফিকের ৮২ ম‌্যাচে রান ৫২৩৫। ব‌্যাটিং গড় ৩৭.৯৩। সেঞ্চুরি আছে ৯টি, হাফ সেঞ্চুরি ২৫টি। 

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়