ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মাছ চাষে ৫০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন শাখাওয়াতের

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৫, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১  
মাছ চাষে ৫০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন শাখাওয়াতের

ঘরে বসে না থেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছেন শাখাওয়াত হোসেন। নিজ এলাকায় মাছ চাষ করে সফল হওয়ার পথে হাঁটছেন তিনি। বর্তমানে তিনি এ পেশা থেকে ৫০ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন।

বর্তমানে শাখাওয়াতের অধীনে রয়েছে ছয়টি পুকুর।  

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের শাখাওয়াত হোসেন। মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে রয়েছে আরো দুই তরুণ।

তিনজনই তারা মাস্টার্স পাস করেছেন। চাকরি যখন সোনার হরিণ তখন ঘরে বসে না থেকে উদ্যোক্তা হয়ে আয় রোজগার করা তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২০০৬ সালে এসএসসি পাস করে আমি ৫ কাঠার একটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। মাছ চাষের পাশাপাশি আমি লেখাপড়াও চালিয়ে যাই। এক পর্যায়ে আমি মাস্টার্স পাস করি। মাস্টার্স পাশ করার পর আমি এ ব্যবসায় আরো বেশি মনোযোগ দেই। এখন এটাকে আমি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছি। যে পুকুরগুলোতে আমি মাছ চাষ করি তাতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পুকুরগুলোতে ছয় প্রজাতির মাছ রয়েছে। যেমন রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকাপ, পাবদা মাছ আছে পুকুরে। সামনে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মাছ চাষের ইচ্ছা আছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোস্তমপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘শাখাওয়াত হোসেনের বিষয়টি আমাদের জানা আছে।  আমরা ইতিমধ্যে তাকে সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। করোনাকালীন প্রণোদনা, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষে কারিগরি সহযোগিতাসহ সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তারা যাতে এগিয়ে যেতে পারে এ লক্ষ্যে উপজেলা মৎস্য বিভাগ যথেষ্ট তৎপর।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি শাখাওয়াতের মত অনেক বেকার তরুণ বসে না থেকে পুকুর ও বিলে মাছ চাষা করে নিজেদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।’

বাশির/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ