খালেদা জিয়ার দুই মামলায় চার্জ শুনানি ২১ জুলাই 

মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে মামলা দুটি চার্জ শুনানির জন্য ছিল। কিন্তু, খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষে আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সামাদুল কবির এসব তথ্য জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্মতারিখ: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তার জন্মদিন: ১৯ আগস্ট, ১৯৪৫ সাল। বিয়ের কাবিননামায় খালেদা জিয়ার জন্মদিন: ৪ আগস্ট, ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন: ৫ আগস্ট, ১৯৪৬ সাল।

মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মতারিখ পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মতারিখ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর খালেদা জিযার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।