কুয়েতে ফ্রি ভিসা বলে কিছু নেই: রাষ্ট্রদূত তারেক হোসেন
আ হ জুবেদ, কুয়েত থেকে || রাইজিংবিডি.কম

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন
“বাংলাদেশিরা কুয়েতে আসার আগে এই দেশটির ভিসা ক্যাটাগরি, কাজের ধরন, বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও কোম্পানি বা কফিলের চুক্তিপত্রে নিজেদের স্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে কি না ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখে নিতে হবে।”
কুয়েতে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেছেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।
তিনি বলেন, “কোনো প্রবাসী মারা গেলে কোম্পানি বা কফিলের দায়িত্ব হচ্ছে ওই প্রবাসীর মরদেহ তাদের নিজ খরচে দেশে পাঠানোর। কোনো কোনো অসাধু ব্যক্তিরা কুয়েতের ভিসা দেশে পাঠিয়ে থাকেন এই বলে, ‘এটি ফ্রি ভিসা। কুয়েতে এসে ইচ্ছেমতো যেকোনো কাজ করতে পারবেন।’ এটি সম্পূর্ণভাবে এক ধরনের প্রতারণা।”
তিনি আরো বলেন, “মূলত ফ্রি ভিসা বলে কুয়েতে কোনোকিছু নেই। কুয়েতের ভিসাগুলো হচ্ছে, আর্টিকেল ১৮ ও আর্টিকেল ২০। আর্টিকেল ১৮ হলো কোম্পানির ভিসা এবং আর্টিকেল ২০ খাদেম বা গৃহকর্মীর ভিসা।”
রাষ্ট্রদূত বলেন, “এসব ভিসা যারা স্পন্সর দিয়ে থাকেন, তাদের অধীনস্থ কর্মী হিসেবে কাজ করার নিয়ম এখানে। এর বাইরে নিজেদের ইচ্ছে খুশিমতো কিছু করতে গেলে সেটি হবে এ দেশের আইনে অবৈধ। অতএব, ফ্রি ভিসার কথা শুনে কেউ প্রতারিত হবেন না।”
নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলে কুয়েতে আসার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, “দক্ষ কর্মীর বেতন অনেক ভালো। যেকোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করেই কুয়েতে আসবেন।”
ঢাকা/মেহেদী