ফেসবুক-ইমোতে যৌনতার ফাঁদ, গ্রেপ্তার ৩

ফেসবুক-ইমোতে যৌনতার ফাঁদে ফেলে প্রতারণার একাধিক অভিযোগে নোয়াখালীতে দুই কলেজ ছাত্রী ও এক বিকাশ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে এদের আটক করে নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃত দুই কলেজ ছাত্রীর একজন (১৯) বেগমগঞ্জ উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং অপরজন (২০) সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের লেদুয়া গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়া বিকাশ এজেন্টের নাম মোশারফ হোসেন মনু, তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের হোসেন আহমদের ছেলে।

জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কুয়েত প্রবাসী সাইফুল ইসলামকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতারণার জালে ফেলে কয়েক দফায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এই দুই যুবতী। এছাড়াও কোম্পানীগঞ্জের মধ্যপাচ্য প্রবাসী তানভির হোসেন, মোস্তফা চৌধুরী নামে দুই প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এ চক্র। কোম্পানীগঞ্জের আরো কয়েকজন যুবকও এদের জালে ফেঁসেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে।

অভিযুক্তদের আটকের পর তাদের ব্যবহৃত বিকাশ একাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকা লেনদেনের প্রমাণও পাওয়া গেছে।

 

 

নোয়াখালী জেলা সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ রয়েছে নোয়াখালীতে একাধিক সক্রিয় নারী চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাসেঞ্জারে ইউরোপ প্রবাসীর কন্যা সেজে মধ্যপাচ্য প্রবাসী যুবকদের বিয়ে করে ইউরোপে নেওয়ার প্রলোভনে ফেলে প্রতারণা করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। আবার প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক পাতিয়ে  ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, মাস্যেঞ্জারে সেক্স করে তা কৌশলে ধারণ করে নেয়। পরে এসব ছবি, ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে হুমকি-ধামকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘এ ছাড়াও গরীব অসহায় লোককে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তের কথা বলে মানবিক আবেদন দেখিয়ে, অসুস্থ রোগীদের বানোয়াট ছবি দেখিয়ে সাহায্যের নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ জন্য তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকগুলো আইডি ব্যবহার করে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তারা আইডিগুলো পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়।’

বাহরাইন প্রবাসী কবির হোসেন জানান, গরীব অসুস্থ লোককে সাহায্যের কথা বলে তার কাছ থেকে ৮হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি ইমুতে তাকে ব্ল্যাক মেইল করে তার কাছে মোটা অংকের টাকাও দাবি করে তারা।



নোয়াখালী/মাওলা সুজন/টিপু