ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নাটোরে ফসলি জমিতে ইটভাটা

নাটোর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নাটোরে ফসলি জমিতে ইটভাটা

নাটোরের গুরদাসপুরে পরিবশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে পাঁচটি ইটভাটা। এগুলোর প্রতিটিই নির্মাণ করা হয়েছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও ফসলি জমিতে।

ইটভাটাগুলোর চিমনির উচ্চতা কম হওয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। তবে এরপরও এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নে শাহাপুর গ্রামে হাকিম ব্রিক্সস (এইসআরবি), এএসবি ব্রিক্সস, এআরবি ব্রিক্সস, এইচকেবি ব্রিক্সস ও এইসবিবি ব্রিক্সস নামের এসব ইটভাটা যত্রতত্রভাবে ফসলি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে উঠেছে। অথচ ১৯৯২ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী আবাদি জমি ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ইটভাটা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাঁচটি ইটভাটারই চিমনির উচ্চতা প্রায় ৪০ ফিট। চিমনির উচ্চতা কম হওয়ায় ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শ্বাষকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এসব এলাকার মানুষ। এছাড়া ভাটার আশপাশের জমিগুলোতেও মারাত্মক ফসলহানি দেখা দিয়েছে।

অনুমোদনের বিষয়টি জানতে চাইলে ইটভাটার মালিকরা এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তার ইউনিয়নে অনুমোদনহীন চারটি ইটভাটা চলছে। এসব ইটভাটার মাটি, ইট, কয়লা বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় গ্রামীন সড়কের ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। পুনঃনির্মাণ করা সড়কও মাসখানেকের বেশি টিকছে না। অথচ অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।

উপজেলার শাহপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক মাস্টার জানান- পাঁচটি ইটভাটার মধ্যে চারটিই ৫০০ মিটার দূরুত্বের মধ্যে। শাহাপুরের গ্রামীন সড়কগুলোতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি ওভারলোড ট্রাক ভাটার মালামাল আনা-নেওয়া করে। এতে পথচারীদের চলাচলে দূর্ভোগসহ বাড়িঘর ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকে। অথচ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে কেউ কোনো  ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

এএসবি ব্রিক্সের মালিক আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ‘অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।

এইচবিবি ব্রিক্সের ম্যানেজার আফজাল বলেন, ‘অনুমোদন না থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই ইটভাটা চালাচ্ছি’।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, ‘অনুমোদনহীন ইটভাটা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। এসব ইটভাটা বন্ধে অভিযান চলছে’।

 

নাটোর/আরিফুল ইসলাম/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়