ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘হঠাৎ দেখি আমার মাকে দা দিয়ে কোপাচ্ছে’

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘হঠাৎ দেখি আমার মাকে দা দিয়ে কোপাচ্ছে’

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় চার চা শ্রমিককে খুন‌ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঘাতক নির্মল কর্মকার।

রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পাল্লাতল চা বাগানে হত্যাকাণ্ড ঘটে। এতে গুরুতর আহত একজন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঘটনার সময় ঘাতকের সৎ মেয়ে চন্দনা বুনাজি (১০) পালিয়ে যায়। এখন সে ভয়ে-আতঙ্কে আড়ষ্ঠ হয়ে আছে।

বেঁচে যাওয়া চন্দনা বুনাজি বলে, ‘‘হঠাৎ দেখি আমার সৎ বাবা আমার মাকে দা দিয়ে কোপাচ্ছেন। আমি এগিয়ে এসে বাধা দেয়ার চেষ্টা করি, তখন আমাকেও মারধর করেন। ততক্ষণে আমার মা, নানিকে খুন করে ফেলেন। আমি দৌঁড়ে পালিয়ে চিৎকার করে ঘটনা সবাইকে জানায়।’’

তবে কী কারণে তার সৎ বাবা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সেই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি সে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, ভোরে কথা কাটাকাটির জের ধরে নির্মল কর্মকার ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী জলি বুনাজি ও শাশুড়ি লক্ষ্মী বুনাজিকে কুপিয়ে হত্যা করে। চন্দনা দৌঁড়ে গিয়ে বাগানের সবাইকে জানালে চা শ্রমিকরা বাড়ি ঘিরে ফেলে। পাশের ঘরের বসন্ত বক্তা, তার স্ত্রী কানন বক্তা ও মেয়ে শিউলি বক্তা এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাতাড়ি কোপায় নির্মল।

ঘটনাস্থলে বসন্ত বক্তা ও শিউলি বক্তা মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় কানন বক্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শ্রমিকরা বাড়ি ঘেরাও করলে নির্মল কর্মকার ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পিবিআই, সিআইডি পুলিশের পৃথক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

নির্মল কর্মকার দেড় বছর আগে জলি বুনাজিকে এক কন্যাসহ বিয়ে করে।

স্থানীয় চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, নির্মল কর্মকার জলি বুনাজিকে বিয়ে করে ঘরজামাই হয়ে বসবাস করে আসছিলেন। হত্যাকাণ্ডে চা শ্রমিকদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে।


সাইফুল্লাহ হাসান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়