ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২১ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানাসহ নয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে টাকা আত্মসাতের মামলা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল (রামগঞ্জ) আদালতে ভূক্তভোগী মো. জাকির এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি (সিআর-২৫/২০২০) আমলে নিয়েছেন। তা তদন্তের জন্য নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সাক্ষীদের জবানবন্দী ও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলার কেতুড়ি গ্রামের শামীম, নোয়াগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হক পলাশ, সাইফুল ইসলাম, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হারুন মিঝি ও বরিয়াইশের আনোয়ার ও অজ্ঞাত তিন জন। তারা ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

এজাহার সূত্র জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের জাকির ও জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। সে সুবাদে জাকিরের কাছ থেকে জয়নাল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। টাকা পরিশোধ না করায় জাকিরের বিরুদ্ধে জয়নাল ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন রানার কাছে মৌখিকভাবে বিচার দেয়। পরে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাকিরকে নয় লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।

ওই টাকা জয়নালকে সরাসরি না দিয়ে চেয়ারম্যানকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাকির চেয়ারম্যানের ইউসিবি ব্যাংক হিসাবে ১ লাখ টাকা জমা দেন। ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট মো. মিন্টু ও বেলায়েত হোসেন বকুলের উপস্থিতিতে জাকির চেয়ারম্যানকে আট লাখ টাকা দেন। চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে এ টাকা দেওয়া হয়।

কিন্তু চেয়ারম্যান টাকাগুলো জাকিরের পাওনাদার জয়নালকে বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাত করেন। গত ১১ জানুয়ারি ওই টাকা জয়নালকে দিতে ফেরত চাইলে চেয়ারম্যান ও আসামিরা জাকিরকে মারধর করেন। এসময় জয়নালকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান পিস্তল বের করে তাদেরকে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন।

এসময় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে জমা দেওয়া টাকাগুলোও ফেরত দেবেন না বলে জানান চেয়ারম্যান। এনিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জাকির ও জয়নালকে হত্যা করা হবে বলে চেয়ারম্যান হুঁশিয়ারি দেন।

মামলার বিষয়ে জানতে সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রানার মোবাইলফোনে কল করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।



ফরহাদ/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়