ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নোয়াখালীতে করোনা শনাক্ত হয়নি, সাধারণ রোগীও নেই হাসপাতালে

নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৮, ৩০ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নোয়াখালীতে করোনা শনাক্ত হয়নি, সাধারণ রোগীও নেই হাসপাতালে

নোয়াখালীতে এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে কেউ শনাক্ত হয়নি, আবার জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে আউটডোরে এবং জরুরি বিভাগেও ভিড় নেই একেবারেই। তবে ডাক্তার-নার্স ঠিকই প্রতিদিনের মতো ডিউটি করে যাচ্ছেন।

১৫/১৬ দিন আগেও চিত্র ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্ন। আউটডোরে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগীদের ভিড় ঠেলে যাওয়া ছিলো কষ্টকর, ওয়ার্ডে ছিলো রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের কোলাহল। সে চিত্র এখন বদলে গেছে করোনার প্রভাবে।

করোনাভাইরাসের প্রতিরোধে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রভাব পড়েছে জেলার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে। রোগী ভর্তি এবং বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে গেছে কয়েকগুণ, তবে ডাক্তার ও নার্সরা রয়েছেন সতর্কাবস্থায়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ‘নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগীর উপস্থিতি নেই বললেই চলে। তবে, যারা চিকিৎসা নিতে আসছেন, সবাইকে রোগের ধরন বুঝে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য সময় যেখানে আউটডোরে চিকিৎসার জন্য টিকেট নিতেন ১২০০ থেকে ১৫০০জন। সেখানে এখন ৩০০ জনও হয় না। হাসপাতালের ১৮টি ওয়ার্ডে আগে রোগী ভর্তি থাকতো গড়ে ৭০০জন। এখন আছেন ২০০জনের মতো। এছাড়া শহরের মানুষদের একটি অংশ, যাদের সঙ্গে হাসপাতালের ডাক্তারদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে, তারা মোবাইলের মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাঝে করোনা আতঙ্ক ছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিম্নবিত্তরা হাসপাতালে আসতে পারছেনা। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

করোনা চিকিৎসার প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনার চিকিৎসার জন্য ২০টি বেড, প্রাথমিক ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ডাক্তার ও সেবক/সেবিকারাও প্রস্তুত রয়েছেন। তবে জেলায় এখনো পর্যন্ত কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আমরা পাইনি। তাই করোনার কোনো রোগীও ভর্তি নেই।’

তিনি আরো বলেন, করোনার আতঙ্ককের মধ্যেও এই হাসপাতালে ডাক্তারদের উপস্থিতি শতভাগ। সরকার নির্ধারিত সময়ে তারা ডিউটি করছেন। তাছাড়া ইর্মাজেন্সি, ইনডোর, বহির্বিভাগ, ফ্লু কর্ণার স্বাভাবিকভাবে চলছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে নোয়াখালীর মানুষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সাধারণ শারীরিক অসুস্থতায় মানুষ ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাছাড়া করোনা আতঙ্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে মানুষ বাসা-বাড়িতেই অবস্থান করছেন।


মাওলা সুজন/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়