৩০ কেজি চালের প্রতি বস্তায় ৩ কেজি উধাও!

সরকারের খাদ‌্যবান্ধব চালের প্রতি বস্তায় চাল থাকার কথা ৩০ কেজি। সেখানে রয়েছে ২৭ কেজি করে। প্রতি বস্তায় তিন কেজি করে উধাও। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ডিলারের বিরুদ্ধে বস্তাপ্রতি তিন কেজি করে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএসের) আওতায় হতদরিদ্রদের ১০ টাকা কেজি দরে ৩০০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেওয়ার কথা।

তবে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এই চাল বিক্রিতে জনপ্রতি ৩-৪ কেজি করে কম দিয়েছেন বলে ডিলার জহিরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

উপকারভোগীদের কয়েকজন চাল কিনে অন্য দোকানে মেপে পরিমাণে কম পেয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই ডিলার দোকান বন্ধ করে চলে যান।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নির্দেশ দেন। পরে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে ওসি (এলএসডি) চন্দ্রসেন রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর চাল মেপে কারো বস্তায় ২৬ কেজি আবার কারো বস্তায় ২৭ কেজি করে চাল পান।

বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ঊর্মি রায়, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুন নূর, উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক শাকির আহমদ খানসহ রাজনগর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।

তারা ডিলারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। দোকান খুলে অন‌্য চালের বস্তাগুলো মেপে দেখেন সেগুলোতে কম রয়েছে। এসময় যেসব বস্তায় কম রয়েছে সেসব বস্তায় ৩০ কেজি পূর্ণ করে উপকারভোগীদের কাছে বিক্রি করতে ওই ডিলারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুন নূর বলেন, ‘ওজনে চাল কম দেয়ার ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার লক্ষ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রককে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। এই কার্যক্রম যাতে বন্ধ না থাকে সেজন্য ওই ডিলারকে আপাতত পুরো ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করতে বলেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কমিটিতে রিপোর্ট দিতে খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বলা হয়েছে।’


সাইফুল্লাহ হাসান/সনি