ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

একলাফে শসা ও বেগুনের মূল্য আড়াইগুণ!

মেহেরপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৭ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 একলাফে শসা ও বেগুনের মূল্য আড়াইগুণ!

মেহেরপুরের বাজারে হঠাৎ করেই শসা ও বেগুনের দাম বেড়ে আড়াই গুণের বেশি হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগেও যে শসা ও বেগুন ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, রমজান শুরু হতেই মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজারে শসার কেজি ৫০ টাকা আর বেগুনের কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ইফতারিতে গুরুত্বপূর্ণ এ দু’টি সবজির দাম এক লাফে আড়াই গুণ হওয়াটা সঠিক বলে মনে করছেন না মেহেরপুরের ক্রেতা সাধারণ।

সবজির জেলা হিসেবে খ্যাত মেহেরপুর। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এ জেলার উৎপাদিত সবজি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এ মুহূর্তে এ জেলার উৎপাদিত সবজি আগের মত দেশের অন্যান্য জেলায় রপ্তানি হচ্ছেনা। তারপরও রমজানে মেহেরপুরের বাজারে গুরুত্বপূর্ণ এ দু’টি সবজির দাম এক লাফে আড়াই গুণ হওয়ার যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেননা ক্রেতারা।

আলাপকালে মেহেরপুরে কর্মরত ব্যাংক কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান মাসে ইফতারিতে বেগুনি ও শসা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রত্যেক রোজাদারের কাছে প্রিয় হওয়ায় বেগুন ও শসার দাম বেশি হলেও বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।'

মেহেরপুর হোটেল বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমজাদ বলেন- ‘আমরা এক সপ্তাহে আগে ২০ টাকা কেজি দরে শসা ও ৩০ টাকা কেজি দরে বেগুন বিক্রি করেছি। এখন পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে বেশি দামে কিনছি বিধায় সামান্য লাভ রেখে শসা ৫০ টাকা ও বেগুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করছি।'

মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের কৃষক রমিজ বলেন- ‘এ বছর মাঠে প্রচুর পরিমান শসা ও বেগুনের আবাদ হয়েছে। কিন্তু প্রচুর শসা উৎপন্ন হলেও গত সপ্তাহে মাঠে পাইকাররা খুব কম আসত। আবার শসা খেত থেকে তুলে বাজারে নিলেও পাইকাররা বেশি দাম দিত না। এদিকে আবাদ বেশি হলেও বৃষ্টির কারণে বেগুনের ফলন কিছুটা কম ছিল। তারপরও আমরা আগের দামেই পাইকারদের কাছে বেগুন বিক্রি করছি।'

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন- ‘মেহেরপুরের মাঠে এ বছর শসা ও বেগুন ভাল উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু কৃষকের ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তাদের মর্জির উপর নির্ভর করে কৃষকের উৎপাদিত ফসলে লাভ কিংবা ক্ষতি।'

মেহেরপুর জেলা ক্যাবের প্রেসিডেন্ট রফিকুল আলম বলেন- ‘বিদেশে কোন পার্বণ এলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সুলভ করে দেওয়া হয়। আমাদের দেশে জরুরি এ মুহূর্তেও খাদ্য শস্য পরিবহনে কোন কড়াকড়ি আইন করা হয়নি। তারপরও সবজি বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু দ্রব্যের আকাশচূম্বি মূল্য সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে।'

জরুরিভাবে বাজার মনিটরিং করে  এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে মনে করেন তিনি।

 

মহাসিন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়