ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সীমিত আকারে বাবুরহাটে বেচাকেনার সময়সীমা বৃদ্ধি

নরসিংদী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৬ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সীমিত আকারে বাবুরহাটে বেচাকেনার সময়সীমা বৃদ্ধি

ফাইল ফটো

নরসিংদীতে দেশের বৃহত্তম কাপড়ের বাজার শেখেরচর বাবুরহাট  সীমিত আকারে চালু রয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শর্তসাপেক্ষে এই কাপড়ের বাজার খোলার অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৫ মে) পর্যন্ত ছিল শর্তসাপেক্ষে খুলে রাখার শেষ দিন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা বর্ধিতকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন জেলা প্রশাসক। যা পূর্বশর্ত পালন সাপেক্ষে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত নরসিংদী জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় নরসিংদী চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলী হোসেন শিশির, শেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাকিরসহ বাবুরহাটের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা অংশ নেন। সভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে কাপড়ের বাজার চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দেশের সর্ববৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার বাবুরহাট। নরসিংদী জেলার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ বাজারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নে অবস্থিত।

বাবুরহাটে রয়েছে ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হাজার কাপড়ের দোকান। এখানে মাথার টুপি থেকে শুরু করে শাড়ি, লুঙ্গি, গামছা, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শার্ট-প্যান্ট, বিছানার চাদর, থান কাপড়সহ সব ধরনের কাপড় পাওয়া যায়।

সপ্তাহের বৃহম্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত রাজশাহী, বগুড়া, সিলেট, বরিশাল, জামালপুর, ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জসহ দেশের নানা প্রান্তের পাইকারি ক্রেতারা এসে কাপড় কিনে নিয়ে যায়। যার ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে মুখরিত থাকে বাজারটি। ঈদের মৌসুমে এখানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক গত ৯ এপ্রিল থেকে জেলা লকডাউন করার পর বাবুরহাট বাজার বন্ধ হয়ে যায়।

বাবুরহাটকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করছে শত শত কাপড় ব্যবসায়ী ও হাজার হাজার শ্রমিক। বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। 

এখন বাবুরহাট বাজারে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু স্টক ডেলিভারি সিস্টেম চালু রয়েছে। বাজারে কোনো দোকান খোলা থাকে না। শুধু একটি শাটার খোলা রেখে পণ্য ডেলিভারি করা হয়।

বাজারের সকল আড়ত  ও দোকানে পাইকারি ও খুচরা পণ্যের অর্ডার শুধু অনলাইনে/মোবাইল ফোনে গ্রহণ করতে হয় এবং সব লেনদেন অনলাইন/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করা হয়।

ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য জনসমাগম করা যায় না। প্রতিটি দোকানে সর্বোচ্চ তিনজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করতে পারে।

বাজারে প্রবেশ ও বহির্গমনের জন্য দুটি গেট খোলা থাকে। বাজারের প্রবেশ পথে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে প্রবেশকারীদের শরীর তাপমাত্রা পরীক্ষা, বাজারের বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং বাজারে অবস্থানরত সকলকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হয়।

এমন আরো কয়েকটি শত মেনে চলতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

 

হানিফ/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়