ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাপ্তাইয়ে করোনা আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি

বিজয় ধর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৫, ২০ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
কাপ্তাইয়ে করোনা আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার দাবি

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা। যেখানে রয়েছে সমৃদ্ধে ভরপুর সবকিছুই। শুধু তাই নয় কাপ্তাইয়ের কৃষিজশিল্প, পর্যটনশিল্প থেকে বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয় সরকারের।

কিন্তু দুঃখের বিষয় কাপ্তাই উপজেলায় নেই কোন করোনা আইসোলেশন সেন্টার। ফলে কাপ্তাইয়ের বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগীরা হোম আইসোলেশন সেন্টার ব্যবহার করছে এবং সামরিক বাহিনীর যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের নিজস্ব হাসপাতালে নিচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এছাড়াও সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কোন আইসিউ সেবা। ফলে ইমারজেন্সী রোগী আসলে তাদের রেফার করা হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যালসহ বাইরের হাসপাতালে।

এদিকে, সাধারণ করোনা রোগীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে তাদের বিভিন্ন রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এতে পরিবারের বাকিদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও পাড়া-প্রতিবেশীদের বিভিন্ন রকম অবমাননার স্বীকারও হতে হয়। যা একজন করোনা রোগীকে মানসিক ভাবে দূর্বল করে ফেলে।

কাপ্তাই ফোরামের এডমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এ আর লিমন জানান, তিনি প্রথম থেকে কাপ্তাইয়ে আইসোলেশন সেন্টার এবং একটি ফিল্ড হাসপাতাল গড়া তোলার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে সোচ্চার হয়েছেন, তবে কয়েকজন ব্যতীত কারো সাড়া পাচ্ছি না। ইতিমধ্যে আপনারা জানেন, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সিট বুক হয়ে গেছে, যার ফলে নতুন রোগীরা জায়গা পাচ্ছেনা। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, এই মুহূর্তে ব্যক্তিগতভাবে সকলের প্রচেষ্টায় ফিল্ড হসপিটাল এবং উপজেলা সদর হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে আইসোলেসন সেন্টার গড়ে তোলা ছাড়া কোন পথ নেই।

কাপ্তাই উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী জানান, উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা হাসপাতালের ৩য় তলায় মাত্র ৪ টি বেডে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এর বাহিরে রোগী আসলে এই মুহূর্তে ভর্তি করা সম্ভব না।

এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, যদি কাপ্তাইয়ে করোনা রোগীর দিন দিন বৃদ্ধি পায়, তাহলে উপজেলা সদর বড়ইছড়ি কর্নফুলি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাপ্তাই আল আমিন নুরিয়া মাদ্রাসায় আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

তিনি জানান, যদি রাইখালী ইউনিয়নে করোনা রোগী শনাক্ত হয় তাহলে নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়েও আইসোলেশন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।

কাপ্তাইয়ের সচেতন জনগন মনে করছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সকলকে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিরা যাতে সুস্হ না হওয়া পর্যন্ত জনসম্মুখে না আসতে পারে, সেই বিষয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।



রাঙামাটি/বিজয় ধর/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ