মোবাইল চুরির অপবাদে দুই শিশুকে দিনভর নির্যাতনের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগানে মোবাইল চুরির অপবাদে দুই শিশুকে দিনভর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান এ তথ‌্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরিফুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৭টায় মুন্না পাশি (১২) ও জগৎ নুনিয়া (১৩) নামের দুই শিশুকে বাগান ফ্যাক্টরির সামনের গাছের সাথে বেঁধে রেখে কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধর করে। পরে শিশুদের অভিবাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিকাল ৩টায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

নির্যাতিতদের পরিবার থেকে জানা যায়, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে চা বাগান হাসপাতালের কম্পাউন্ডার মামুনুর রশীদ শিশুদের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান। পরে চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশিসহ কয়েকজন মিলে বাগান ঘরে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক প্রহার করেন এবং সাকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।

নির্যাতনের শিকার মুন্নার মা গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপেন সাহা উপস্থিত থেকে তাদের পিটিয়েছেন। সাথে ছিলেন চা বাগান পঞ্চায়েতের সভাপতি নারদ পাশি, সাদেকসহ অনেকে। বিকাল ৩টায় ছেলেদের অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাদের অবস্থার অবনতি হলে বিকালে মুন্না ও জগৎকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

কুরমা চা বাগান ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান বলেন, ‘মোবাইল চুরির অপরাধে দুই শিশুকে আটকে রাখা হয়েছিল। কোন নির্যাতন করা হয়নি। পরে অভিভাবকদের জিম্মায় মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত দুই শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের বর্তমান অবস্থা আগের চেয়ে ভালো।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘চুরির অপরাধে দুটি শিশুকে আটকানো হয়েছিল। বিকেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


সাইফুল্লাহ হাসান/সনি