ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ৮

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২৪ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ৮

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু শরিফকে (১৩)  নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর ভিডিও তৈরী এবং সেসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে আট যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার রাতে তাদেরকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। সোমবার দুপুরে তাদেরকে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শেখ আ. রহমানের ছেলে আলম শেখ (২৩), একই গ্রামের নোয়ার হাসেন রুমানের ছেলে তারেক (২২), নাজিম উদ্দিনের ছেলে দীপু (২২), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি (১৭), বাদাঘাট গ্রামের খুরশিদ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), বড়দল উত্তর ইউনিয়নের মৃত আ. গফুরের ছেলে মোজাম্মেল হক (২২), হাবিবুর রহমান সংগ্রামের ছেলে সাগর (২১), দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের পাগলপুর গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে মনির মিয়া (১৯) ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান।

পুলিশ ও মামলার অভিযোগ  ‍সূত্রে জানা যায়, জুলাইয়ের শেষের দিকে উপজেলার বাদাঘাট বাজারের সততা স্টোরের মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিশোর শরিফের ছবি ও একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ওই ভিডিওতে শরিফ (১৩) জানায়, বাদাঘাটের কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে মদ খাইয়ে বিভিন্ন রকমের টিকটক ভিডিও তৈরি করে তা ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাতে ভিকটিমের বড় ভাই শামীমের দায়ের করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়। শরিফ মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঢালারপাড় (লাউড়েরগড়) গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান পিপিএম স্যারের বিষয়টি নজরে আসলে স্যারের দিকনির্দেশনায় তাহিরপুর থানা পুলিশ ও বাদাঘাট পুলিশ রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শরিফের সঙ্গে কথা বলা হয়। শরিফের স্বীকারোক্তী অনুযায়ী ভিডিও ভাইরালের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের আটজনকে গ্রেপ্তার করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমের বড় ভাই শামীম বাদী হয়ে আটককৃত আট জনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।’

আল আমিন/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়