অর্ধযুগ পর খোঁজ মিললো স্বজনদের
বাগেরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বদৌলতে ছয় বছর আগে হারিয়ে যাওয়া রফিজ উদ্দিনকে (৫৬) খুঁজে পেলেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রসুলপুর বাজারে ছিন্নমূল হিসেবে থাকা রফিজ উদ্দিনকে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
৬ সেপ্টেম্বর রফিজ উদ্দিনের ছবি, কিছু বক্তব্য ও রসুলপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য নিয়ে শরণখোলা প্রতিদিন নামের একটি ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন স্থানীয় শাহিন হাওলাদার। এতে রফিজ উদ্দিনের পরিবার ও স্বজনদের খুঁজে পেতে সহযোগিতার আহবান জানান তিনি। পরে রফিজ উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা জানতে পেয়ে শাহিন হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উলফা বেনিরগোপ গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে রফিজ উদ্দিনকে নিতে শরণখোলায় আসেন তার স্বজনরা।
রফিজ উদ্দিনের ভাইপো মোস্তফা কামাল বলেন, ‘২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর আমার ফুফুর মৃত্যুর খবর শুনে ওই বাড়িতে যায় আমার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী চাচা রফিজ উদ্দিন। এরপর আর ফিসে আসেননি। আমরা অনেক খোজাখুঁজি করেছি, কিন্তু পাইনি। তার স্ত্রী রহিমা বেগম ও ছেলে সোহেল রানা ছয় বছর ধরে তাকে খুঁজে না পেয়ে পাগলপ্রায়। ৮ সেপ্টেম্বর ফেসবুকের একটি ভিডিওতে চাচাকে দেখতে পাই।চাচার কন্ঠ শুনে নিশ্চিত হয়ে তাকে নিতে শরণখোলায় আসি আমরা। ছয় বছর পরে চাচাকে পেয়ে আমরা খুব খুশি। শাহিন হাওলাদারকেও ধন্যবাদ জানাই।’
শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে রসুলপুর বাজারে থাকত মানসিক প্রতিবন্ধী রফিজ উদ্দিন। নিজের ঠিকানা ঠিকমত বলতে পারতেন না তিনি। বাজারের ব্যবসায়ীদের দেওয়া সামান্য খাবার খেয়ে তার জীবন কাটত। ঘুমাতেন বাজারের বিভিন্ন দোকানের সামনের ফাঁকা স্থানে। তার সাথে অনেকদিন কথা বলেছি আমি, কিন্তু নিজের পুরো ঠিকানা বলতে পারেন না তিনি। পরে তার সাথে আলাপচারিতার একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করি। সেই ভিডিও দেখে তার স্বজনরা যোগাযোগ করেন আমার সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের সঙ্গে কথা বলে স্বজনদের কাছে রফিজ উদ্দিনকে তুলে দিয়েছি আমরা।’
টুটুল/শাহেদ
আরো পড়ুন