ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথের ফেরি চায়না চ্যানেল দিয়ে চলাচল শুরু

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  
শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথের ফেরি চায়না চ্যানেল দিয়ে চলাচল শুরু

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়েছে। আজ শবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে লৌহজং চায়না চ্যানেল দিয়ে এ ফেরি চলাচল শুরু হয়।

শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় অর্ধশত যানবাহন। এর আগে গেল শুক্রবার বিকেলে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি কাকলি ও পরে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ফেরি ক্যামেলিয়া ও কাকলি ছেড়ে এসে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে আবার ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।

শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসি'র সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এ নৌরুটে ছোট ও কেটাইপ মিলিয়ে ৫টি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় শতাধিক যানবাহন। অনেক দিন ধরে নাব্য সংকট, প্রবল স্রোত, চ্যানেল বিপর্যয় ও পাড় ভাঙনের কারণে এরুটে ফেরি চলাচলে কখনও বন্ধ, আবার কখনও চালু করা হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। নাব্য সংকট ও প্রবল স্রোতের চ্যানেল বিপর্যয়ের কারণে কারণে গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ১১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে কেটাইপ ফেরি কাকলি ও ক্যামেলিয়া এবং একটি রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর আবার বন্ধ থাকে। ১২ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়। তবে রাতে ফের বন্ধ থাকে। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এ রুটের ফেরি চলাচল অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। 

পরে ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর বিকল্প দূরপাল্লার চ্যানেল পালেরচর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে দুদিন দুটি ফেরি ছেড়ে যায়। পরে আবার ১৭ সেপ্টেম্বর বন্ধ থাকে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আবারও পরীক্ষামূলকভাবে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি কাকলি ও পরে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে ফেরি ক্যামেলিয়া ও কাকলি ছেড়ে এসে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছলে আবার ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।

প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলিয়া তিন নম্বর ঘাট এলাকায় দেখা দেয় পদ্মার আকস্মিক ভাঙন। ভাঙনে মুহূর্তেই নবনির্মিত পদ্মা নামের একটি খাবারের হোটেলসহ একাংশ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এলাকায় ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা অব্যাহত রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ ও চার শতাধিক স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

শেখ মোহাম্মদ রতন/সাজেদ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়