ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লাশের পেটে মিললো ১৫৫০ পিস ইয়াবা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ০০:২২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
লাশের পেটে মিললো ১৫৫০ পিস ইয়াবা

পাকস্থলিতে করে ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আবদুস শুকুর (৩৭) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পরে তার লাশের ময়নাতদন্তের সময় পাকস্থলিতে ১ হাজার ৫৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে ওই ব্যক্তির লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।

আবদুস শুকুরের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাজারপাড়া এলাকায়। তার বাবার নাম মোক্তার আহমেদ। গত বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পাবনা হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে তিনজনের সঙ্গে শুকুরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে শুকুর রামেক হাসপাতালে মারা যায়। পরে ময়নাতদন্তের সময় তার পেট থেকে ইয়াবা উদ্ধার হয়।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, শুকুর টেকনাফ থেকে পেটে ইয়াবা নিয়ে পাবনায় বিক্রি করতে এসেছিলেন। পাবনার স্থানীয় তিনজন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে ডিবি পুলিশ শুকুরকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তাদের কাছে ১৫০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। কিন্তু পুলিশের কাছে তথ্য ছিল তাদের কাছে ইয়াবা আছে আরও অনেক বেশি। তাই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা স্বীকার করেন যে,  ইয়াবা আছে শুকুরের পেটের ভেতর।

তিনি জানান, শুকুরকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং এক্স-রে করে নিশ্চিত করেন শুকুরের পেটে ইয়াবা আছে। কিন্তু সেগুলো বের করার কোনো ব্যবস্থা তাদের কাছে নেই। তাই তারা শুকুরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী তাকে রামেক হাসপাতালের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পুলিশের হেফাজতে তার চিকিৎসা চলছিল। রোববার রাতে শুকুর মারা যায়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। এ সময় শুকুরের পাকস্থলিতে ইয়াবার ৩১টি প্যাকেট পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৬টি প্যাকেট ঠিক ছিল। বাকি ১৫টি প্যাকেট ফেটে গিয়েছিল। এসব প্যাকেটের বড়ি গলতেও শুরু করেছিল। সেগুলো গণনা করা যায়নি। তবে ভালো থাকা ১৫টি প্যাকেটের ইয়াবা ঠিকমতো গণনা করা সম্ভব হয়েছে। এতে প্রত্যেক প্যাকেটে ৫০ পিস করে ইয়াবা বড়ি পাওয়া গেছে। তাই তারা ধরে নিচ্ছেন যে ৩১টি প্যাকেটেই ৫০ পিস করে ইয়াবা ছিল। মোট ইয়াবা বড়ির সংখ্যা ১ হাজার ৫৫০টি। পাকস্থলিতে এত বেশি সংখ্যক ইয়াবা গলে যাওয়ার কারণে শুকুরের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি। 

তানজিমুল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়