আর বাড়ি ফেরা হলো না সুবাস পালের
আবু কাওছার আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম
সুবাস পাল বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। হাতিয়া এলাকায় পোঁছালে হঠাৎ বেজে উঠলো তার ফোন। হাতে নিয়ে দেখেন মা কল দিয়েছেন। রিসিভ করতেই মা বলে উঠলেন- বাবা কই তুই। উত্তরে ছেলে বললো মা বাড়িতে পোঁছাতে আমার আর ৫-৭ মিনিট লাগবে। তখন মা বলেছিলেন আয় তাহলে।
বলার পর ফোনটি কেটে দেন সুবাস পাল। এর ৪ মিনিট পর আবার সুবাস পালের মোবাইল থেকে মায়ের মোবাইলে ফোন। মা ফোনটি রিসিভ করেই বুঝলেন ফোনটি অন্য কেউ করেছে। তখনি শুনলেন চরভাবলা এলাকায় ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে সুবাস পাল মারা গেছেন।
বাড়ি কাছে হওয়ায় ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক ছুটে আসেন মা। এসে দেখলেন ছেলেটির দেহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আসে। ৫-৭ মিনিটে বাড়ি ফেরার কথা বলে এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে গেলি কেন? বলে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন মা ও ভাই। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন সুবাস পালের মা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক সুবাস পাল নিহত হন। শনিবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরভাবলা এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।
বিষয়টি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আয়ুবুর রহমান নিশ্চিত করেছেন। নিহত মোটরসাইকেল চালক উপজেলার বিল পালিমা এলাকার গিরেন পালের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে তারা মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফেরার পথে চরভাবলা এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। পরে মোটরসাইকেলটি পড়ে গেলে ট্রাকে চাকা সুবাস পালের উপর দিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি কাজী আয়ুবুর রহমান জানান, পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকটি আটক করেছে স্থানীয়রা। তবে চালক পালিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল/বুলাকী
আরো পড়ুন