ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মহাসড়কের পাশে আবর্জনার স্তূপ: দুর্ভোগে মানুষ

সাইফুল্লাহ হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৬, ২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:২৫, ২ নভেম্বর ২০২০

মৌলভীবাজার- সিলেট মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজারের মহাসড়কের পাশেই বাজারের সকল ময়লা- আবর্জনার স্তূপ করে রাখা হচ্ছে। এতে করে পথচারী ও যাত্রীদের উৎকট দুর্গন্ধ সহ্য করে ওই এলাকা পার হতে হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিন এই মহাসড়ক দিয়ে সিলেট যেতে হয় মৌলভীবাজারের জনসাধারণের। কিন্তু মুন্সিবাজারে আবর্জনার ভাগাড়ের কারণে পথচারীদের পড়তে হয় দুর্ভোগে। এছাড়াও মহাসড়কটি দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। এতে প্রতিদিনই তাদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। এইস্থানে আসলেই নাক চেপে চলাচল করতে হয় তাদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সিবাজারের পাশে মহাসড়কের দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা রয়েছে। পাশেই আছে খলাগাঁও করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও খলাগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্লাস্টিকের বোতল, কার্টুন, কর্কশিট, কাগজ, পলিথিন, বস্তা, উচ্ছিষ্ট খাবার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে স্তূপাকারে রয়েছে। এসব আবর্জনা অনেক সময় গড়িয়ে পড়ছে মহাসড়কে। রাস্তার পাশে রয়েছে ক্ষেতের জমি, সেখানে গিয়ে পড়ছে এসব ময়লা-আবর্জনা। এছাড়াও ওই রোড দিয়ে গ্রিন গার্ডেন কেজি স্কুল, রাজনগর আইডিয়েল হাই স্কুল, ক্রিয়েটিভ একাডেমি, আলহাজ আব্দুল মোক্তাদির একাডেমি, মুশুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও রাজনগর সরকারি কলেজসহ অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। ময়লার স্তূপে আসা মাত্রই শিক্ষার্থীসহ সকল ধরনের যাত্রীকে নাক ও মুখ চেপে ধরে পার হতে হয়। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি আশপাশও বাজারের সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

পথচারী মারুফ আহমদ বলেন, ‘প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আমায় যাতায়াত করতে হয়। পাশে ময়লা-আবর্জনা অসহ্য দুর্গন্ধে চলাচল করতে মন চায় না।’

স্থানীয় ভুক্তভোগী আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ময়লার দুর্গন্ধের কারণে বাজারে কেনাকাটা করতে কষ্ট হয়। দোকানিরা তাদের দোকানের ময়লা-আবর্জনা রাস্তার পাশে ফেলে রাখে, সেজন্য চলাচলে অনেক বাধা সৃষ্টি করে।’

বাজারের ব্যবসায়ী মুহিব মিয়ার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বাজারের পাশেই এই ময়লার- আবর্জনা রাখায় দুর্গন্ধে পুরো বাজার ভরে যায়। দোকানে বসে ব্যবসা করা অনেকটা কষ্টকর। বেশি সমস্যা হয়ে এয়ার ফ্রেশ স্প্রে করতে হয়। এই স্থানে একটা ডাস্টবিন তৈরি করা হলে সবাই নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা- আবর্জনা ফেলতো।’

এ বিষয়ে বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাতির মিয়া বলেন, ‘এখানে বাজারের সামান্য ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। অন্য কোনো জায়গাও নেই যে সেখানে তারা ফেলবে। কয়েকদিন পরপর আগুন দিয়ে এগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।’

রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান খান রাইজিংবিডিকে জানান, বাজার ইজারাদারদের বাজার দেওয়ার সময় অনেক নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তা মানে না। বাজারগুলোতে নির্দিষ্ট কোনো জায়গাও নাই যে একস্থানে সবাই ময়লা ফেলবে। উপজেলার মাসিক মিটিংএ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সমস্যার সমাধান করা হবে। 

মৌলভীবাজার/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়