ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শীতে কাঁপছে সাড়ে ৪শ চরের হতদরিদ্র মানুষ

বাদশাহ্ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০২, ১২ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৪:১১, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
শীতে কাঁপছে সাড়ে ৪শ চরের হতদরিদ্র মানুষ

শীত ও কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। গত দুই দিন ধরে দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা না মেলায় জেঁকে বসেছে শীত।

দুর্ভোগে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তাসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার সাড়ে ৪শ চরের হতদরিদ্র মানুষ।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। 

সন্ধ্যা নেমে আসতেই ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে কনকনে ঠাণ্ডার মাত্রা। এ অবস্থা চলে পরের দিন বেলা ১১ টা পর্যন্ত। ঠাণ্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষেরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। 

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের শাহাজাহান আলীর স্ত্রী ছলিমা বেগম জানান, খুবই ঠাণ্ডা পড়েছে।  আমরা দিনমজুর মানুষ। প্রতিদিন কাজ চলে না। টাকা পয়সা নাই গরম কাপড় কিনতে পারছি না। ৪টা বাচ্চা নিয়ে শীতের মধ্যে খুব কষ্টে আছি। 

যাত্রাপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ভোলা জানান, এমনিতেই করোনার কারণে চরাঞ্চলের মানুষের আয় রোজগার কমে গেছে তার উপর বন্যার ধকল, আর বর্তমানে শীত। সরকারিভাবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২৭টি কম্বল পেয়েছি। আমার ওয়ার্ডে মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৮শ।

রাজারহাট উপজেলার উমরমজিদ ইউনিয়নের রিকশাচালক আলম মিয়া জানান, কনকনে ঠাণ্ডায় সন্ধ্যার পর আর বাইরে থাকা যায় না।  সকালেও ঠাণ্ডার কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না।  আয় রোজগার কমে গেছে।  ছেলেমেয়ের জন্য শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, শীতের শুরুতেই ৩৫ হাজার কম্বল জেলার ৭২টি ইউনিয়নসহ পৌরসভাগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে।  নতুন করে ৯ উপজেলার শীত বস্ত্র কেনার জন্য ৬ লাখ করে টাকা ও ১ হাজার করে শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে।  যা দু’একদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

কুড়িগ্রাম/টিপু

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়