ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চাঁদপুর শহরে মাদকের ‘নীরব বাণিজ্য’

অমরেশ দত্ত জয়, চাঁদপুর   || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৫:০৩, ১৩ জানুয়ারি ২০২১
চাঁদপুর শহরে মাদকের ‘নীরব বাণিজ্য’

চাঁদপুর শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে প্রকাশ্যে মাদক বেচাকেনা হচ্ছে। এই মাদক চোরাচালানে এলাকার তরুণের জড়িয়ে পড়ছে। এতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে।

শহরের মধ্যে কুলিবাগান, জামতলা, বড়স্টেশন, কয়লাঘাট, ক্লাব রোড, নিশি বিল্ডিং, খলিশাডুলীর মঠখোলা, পুরান বাজারের বৌ বাজার মাদকের অন্যতম স্পট।

এ সব এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে। এতে মাদকদ্রব্যসহ মাদকসেবী, মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এরপরও থামছে না মাদক চোরাচালান।

এ সব স্পটে গাঁজা, ফেনসিডিল, মদ, ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তবে বহন সুবিধাজনক হওয়ায় ইয়াবার বেচাকেনা সবচেয়ে বেশি। জেলাশহরের মহল্লায়, পাড়ায় নীরবে ইয়াবার বেচাকেনা চলছে। যার বড় অংশের ক্রেতা তরুণেরা।

বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি চাঁদপুর জেলার সদস্য সচিব মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা বলেন, মাদকের ‘নীরব বাণিজ্যের’ কারণে সুস্থ সামাজিক পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাদকের বিস্তারে সামাজিক সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।

মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ ঘোষণা করেছেন জানিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো.  মাহবুবুর রহমান রাইজিংবিডি-কে বলেন, শহরে মাদক বেচাকেনার বেশকিছু স্পট পুলিশ চিহ্নিত করেছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুরাতন মাদক কারবারিরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রতিনিয়ত মাদকবিরোধী অভিযানে তা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

মাদক সেবন ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।

মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’ জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধা সরকার রাইজিংবিডি-কে বলেন, খবর পাওয়ামাত্র মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান চলছে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদকের বিরুদ্ধে তারা ১১০৫টি অভিযান চালিয়েছে। এতে ২০৩টি মামলা দায়ের ও ২২২ জন আসামি গ্রেপ্তার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে, ১৯ হাজার ৯৫২ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে তারা মাঠে ময়দানে কাজ করছেন। মাদকমুক্ত জেলা গড়তে তাদের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, অনেক মাদকসেবী স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইছে। তবে জেলায় মাদক নিরাময় কেন্দ্র না থাকায় সহযোগিতা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে শহরের নবরূপ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পি এম বিল্লাল বলেন, তারা ২০ বেডের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র চালু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। অনুমোদন পেলেই রোগী ভর্তি শুরু করবেন।
 

ঢাকা/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়