ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নারীর গোসলের ভিডিও ধারণকারী ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২১ জানুয়ারি ২০২১  
নারীর গোসলের ভিডিও ধারণকারী ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গোপন ক্যামেরায় নারীর গোসলের ভিডিও ধারণ ও দম্পতির অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণের চেষ্টার অভিযোগে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিমেল সিকদারকে (২৩)  গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাতে উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার হিমেল সিকদার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে।

এদিকে হিমেল সিকদারকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সিয়াম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

এলাকাবাসীদের বরাত দিয়ে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, প্রায় আট মাস আগে হিমেল সিকদার প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করেন। তবে পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ে না মানায় তিনি মির্জাপুর ইউনিয়ন পাড়া এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। হিমেল কয়েকদিন ধরে গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ওই বাসার মালিকের মেয়ের গোসলের ভিডিও ধারণ করেন।

এরপর তিনি গত মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে ওই বাসার ভাড়াটিয়া দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য ধারণ করতে ঘরের ধরনার সঙ্গে গোপন ক্যামেরা সাটাতে থাকেন। যা দম্পতি দেখে ফেলেন। পরে ভাড়াটিয়া ও বাসার মালিকেরা আসলে প্রথমে হিমেল গোপন ক্যামেরার কথা অস্বীকার করলেও তাদের চাপে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এরপর বুধবার দুপুরে তার মুঠোফোন থেকে বাড়ির মালিকের মেয়ের গোসলের পাঁচটি ভিডিও দেখতে পান ভাড়াটিয়ারা। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ তাকে মির্জাপুরের ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন খান জানান, কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় ছাত্রলীগ নেবে না। হিমেলকে ফতেপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে তাকে বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, হিমেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার মুঠোফোন ও গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কাওছার/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়