লো-কার্বন ভবিষ্যৎ গঠনে, টেকসই জৈব শক্তির ওপর গুরুত্বারোপ
বাকৃবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ভবিষ্যতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘সাসটেইনেবল বায়ো এনার্জি সল্যুশন ফর এ লো কার্বন’ শীর্ষক একটি সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিববার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের (বিইপিআরসি) অর্থায়নে এবং ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে এ সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইপিআরসি’র চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. মুরাদ আহমেদ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ও বিইপিআরসি’র সদস্য ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শাহেদ রেজা।
সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পিডিবি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এতে শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি বলেন, “আধুনিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তির প্রয়োজন অপরিহার্য। দেশের নিজস্ব সম্পদকে কাজে লাগিয়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে জ্বালানি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “১৮ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। জ্বালানি নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তাই এই খাতে গবেষণা ও বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান গবেষণার সুযোগ সর্বোচ্চ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, “জীবনমান উন্নয়নে জ্বালানি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ধরনের সিম্পোজিয়াম জ্ঞান বিনিময় ও টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ঢাকা/লিখন/জান্নাত