ওবায়দুল কাদেরকে কটূক্তির প্রতিবাদে লাগাতার অবস্থান
নোয়াখালী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশে শেষে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের বঙ্গবন্ধু চত্তরে এই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালেও তা চলমান রয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এর আগে, বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীকে বহিষ্কার এবং জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমূখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পরিবারকে রাজাকারের পরিবার বলে আখ্যায়িত করে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন বলে হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে একরামুল করিম চৌধুরীর এ বক্তব্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। এর কিছুক্ষণ পরেই তিনি ভিডিওটি তার আইডি থেকে সরিয়ে নেন। এর আগেই কয়েক মিনিটের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভিডিও বক্তব্যটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এবিষয়ে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘আমিতো ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। আমি বলেছি মির্জা কাদেরের পরিবার স্বাধীনতা বিরোধী। আর কাদের ভাই হলো মুক্তিযোদ্ধা। কাদের মির্জা কিছুদিন ধরে দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এর কোনো বিচার হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মির্জা কাদেরের চাচা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাকে কাদের ভাইয়ের বাহিনী গুলি করে মেরেছে। তার বাবা ছিলেন মুসলিম লীগের। মির্জা কাদেরের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর কমান্ডার। মামা ছিলেন রাজাকার। তাদের পুরো বংশই ছিলো রাজাকার। একটা রাজাকার বংশের লোক নিয়মিত ৩০০ সাংসদের বিরুদ্ধে বলে যাচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা নেই দলের ভেতর। ভিডিওতে আমি কাদের ভাইকে নিয়ে কিছু বলিনি। গত একমাস ধরে ধৈর্য ধরেছি। আমি মির্জা কাদেরকে উদ্দেশ্য করেই কথাগুলো বলেছি।’
সুজন/বুলাকী
আরো পড়ুন