ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী পলাতক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  
স্ত্রীর যৌতুক মামলায় স্বামী পলাতক

জুয়েল হোসেন শিকদার

পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ২০১৯ সালের পয়লা মে মৌসুমী হোসেনকে বিয়ে করেন জাপান প্রবাসী মো. জুয়েল হোসেন শিকদার (৫০)। তিনি ঢাকার মীরপুর এলাকার হাজী মো. কালাচান শিকদারের ছেলে। 

মৌসুমী হোসেন (৩৪) মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ইছাদিয়া যাত্রাপুর এলাকার মোবারক হোসেনের মেয়ে।

বিয়ের সময় মৌসুমীকে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান আসবাবপত্র উপহার হিসেবে দেওয়া হয় বাবার বাড়ি থেকে। বিয়ের পর অল্প কিছুদিন সুখে-শান্তিতে দাম্পত্য জীবনও পার হয় তাদের। তবে জুয়েলের আরও স্ত্রী রয়েছে বলে জানতে পারেন মৌসুমী। এরই মধ্যে তাদের সংসারে এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়। 

কন‌্যার জন্মের পরপরই যৌতুকের জন্য মৌসুমীকে অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন জুয়েল শিকদার। বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে একাধিকবার সমাধান করার চেষ্টা করেও কোনো সুরাহা হয়নি। মৌসুমীর পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করার সিদ্ধান্তে অনড় অবস্থায় থাকে জুয়েল।

এদিকে টাকা না পেয়ে নতুন করে আবার একটি বিয়ে করেন জুয়েল হোসেন। পরে বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী মৌসুমী হোসেন। আদালতের বিচারক ওই দিনই এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেন। তবে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়ানোর কারণে জুয়েলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মৌসুমী হোসেন বলেন, ‘যৌতুকের দাবি করা ১০ লাখ টাকা দিতে না পারায় তাকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাবার বাড়ি ফেলে রাখে জুয়েল। এরই মধ্যে সে আরেকটি বিয়ে করে ফেলে। আমিসহ তার মোট চার স্ত্রী। আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পরও পুলিশের নজর ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে জুয়েল। খুব দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।’

মিরপুর শাহ আলী থানা পুলিশের উপ-পরির্দশক (এসআই) সঞ্জিব কুমার সাহা বলেন, ‘থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন স্বামী-স্ত্রী। তবে স্বামী জুয়েল হোসেন শিকাদার পালিয়েছেন। তার কোনো খোঁজ খবর নেই। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

চন্দন/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়