ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

ভ্যাকসিন তৈরিতেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১৮ মার্চ ২০২১   আপডেট: ২১:৩১, ১৮ মার্চ ২০২১
ভ্যাকসিন তৈরিতেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সরকারি প্রচেষ্টায় ওষুধ শিল্পের মতো ভ্যাকসিন তৈরিতেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সাভারে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার নিয়ন্ত্রণে আমরা ভালভাবে সক্ষম হয়েছি। চিকিৎসা ব্যবস্থাও অনেক উন্নত করা হয়েছে এবং ভ্যাকসিন এনেও ভালভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন, বাংলাদেশ সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক। ওষুধে যেমন আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমরা ভ্যাকসিনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে চাই। ওষুধের পাশাপাশি গ্লাভস, সিরিঞ্জ, স্যানিটাইজার, মাস্ক- এসব গুলোতেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছি। ডাক্তারদের যে পিপিই লাগে সেটাও আমাদের শুধু দেশেই তৈরি হচ্ছে না বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। সে কারণে ভ্যাকসিনে আমরা ইনশাল্লাহ স্বয়ংসম্পূর্ণ হব।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাইভেটলি আমাদের ইনসেপ্টার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তাদেরকে পেট্রোনাইজ করাও আমাদের একটা দ্বায়িত্ব। এখন এখানে কিছু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থাৎ সরকারের একটি ল্যাব প্রয়োজন যেটা ডব্লিউএইচও অ‌্যাপ্রুভড ল্যাব। এটা আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের সিড আনার ব্যবস্থা করতে হবে অথবা বাল্কে আনার ব্যবস্থা করতে হবে ভ্যাকসিন। আমরা অলরেডি সেই কাজটা শুরু করেছি।’ 

করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তর কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের ভ্যাকসিনের অনেক বড় প্রয়োজন রয়েছে। তিন কোটি ডোজের আমরা অর্ডার দিয়েছি। কিন্ত এ পর্যন্ত আমরা পেয়েছি ৭০ লাখ ডোজ। বাকীগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। ভ্যাকসিন তৈরি করতে হলে প্রথমে একটা ভাল প্রতিষ্ঠান থাকতে হবে। যেটা ইনসেপ্টা বলছে ওনাদের আছে। কারণ, অলরেডি তারা ভ্যাকসিন তৈরি করছেন। যদি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে হয় তার সিড লাগবে এবং সিড যদি না পাওয়া যায়, তাহলে ভাল্কে আনলে সেটা ওনারা ফিনিসিসেস করে দিতে পারবেন। এই কথাটা ওনারা আমাদেরকে জানিয়েছে।

‘ইনসেপ্টার পাশাপাশি আমাদের দেশে আরো যদি কোনো কোম্পানি যদি ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে আমরা সেখানেও দেখব। কাজেই আমাদের দেশীয় সব কোম্পানীকে আমরা উৎসাহিত করতে চাই। আমরা আশা রাখি পর্যায়ক্রমে ওনারা ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবেন। তবে ইনসেপ্টা অলরেডি করছেন এবং তারা একধাপ এগিয়ে আছেন। আমরা সহযোগিতার মাধ্যমে আশা রাখি, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এখানেই হয়ত (ইনসেপ্টা) তৈরি হবে। তবে সময়ের বিষয়টা আমরা বলতে পারব না। আমরা চাইব যত তাড়াতাড়ি পারি বিভিন্ন অনুমোদন যেটা লাগবে সেই অনুমোদনগুলো নেওয়া এবং যাতে তৈরি করা যায় সেই ব্যবস্থাটা আমরা গ্রহণ করব।’ 

তিনি বলেন, ‘ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন ডিভিশন ৯ ধরনের ভ্যাকসিন অলরেডি তৈরি করছে। বাংলাদেশ সরকারকে দিচ্ছে, বিদেশেও রপ্তানি করছে। তাদের অনেক বড় ক্যাপাসিটি। প্রত্যেক বছরে তাদের ১২০ কোটি ডোজ ক্যাপাসিটি রয়েছে। কোভিড ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের জন্য ভ্যাকসিন লাগে। আমরা ভ্যাকসিন অক্সফোর্ড অস্ট্রোজ্যামিকা ভ্যাকসিন ব্যবহার করছি। যেটা তৈরি হচ্ছে ভারতের সিরাম ইন্সিটিটিউটে। তারাও ওটাকে ওইখানে ফিনিস করে আমাদের দেশে রপ্তানি করছে।’

সাব্বির/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়