ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সাড়া ফেলেছে ৫ টাকা মূল্যের ডিম বিক্রি কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২১ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ২২:২১, ২১ এপ্রিল ২০২১

খুলনায় করোনাকালে প্রতি পিস ডিম ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিকআপ ভ্যানে করে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ও খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে এসব ডিম। এভাবে ২০ লাখ ডিম বিক্রির পরিকল্পনা রয়েছে উদ্যোক্তাদের। 

এদিকে, ডিমের মূল্য কম থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়েছে। দাম কম থাকায় একেকজন ক্রেতা বেশি করে ডিম কিনছেন। 

করোনা পরিস্থিতিতে জনসাধারণের পুষ্টি নিশ্চিতকরণে ন্যায্যমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ণ প্রকল্পের অর্থায়নে খোলা বাজারে ডিম বিক্রির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে বিপিআইএ-এর খুলনা বিভাগীয় কমিটি ও খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতি। 

বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর ডালমিল মোড়ে খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির সামনে থেকে শুরু হয় ন্যায্য মূল্যে ডিম বিক্রির কার্যক্রম। 

ভ্রাম্যমাণ এ কেন্দ্র থেকে ডিম কেনেন শেখ আইনুল হক। তিনি বলেন, ‘বাজারে ডিমের দাম একটু বেশি। কিন্তু এখানে প্রতিটি ডিমের দাম মাত্র ৫ টাকা পিস। এ জন্য বেশি করে ডিম কিনলাম। করোনার সংকটকালে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় সরকার ও পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতিকে ধন্যবাদ।’

নগরীর ময়লাপোতা মোড় থেকে ডিম ৫ টাকা মূল্যের ডিম কেনেন দিন মজুর মো. আকাশ মোল্লা এবং তার চাচা মো. মোস্তফা মুন্সী।

তাদের ভাষ্যে, তারা দিনমজুরির কাজ করেন। তাই স্বল্পমূল্যে পেয়ে ২০টি করে দুজনে ৪০টি ডিম কিনেছেন। এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় তারা খুশি।

খুলনা পোল্ট্রি ফিশ ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি কঠোর লকডাউনে ১২ এপ্রিল থেকে তারা পিকআপে করে ভ্রাম্যমাণ ডিম বিক্রি করছেন। প্রাথমিক পর্যায়ে ২০ দিন এবং পরবর্তীতে মোট ৪৫ দিনের ডিম বিক্রির একটি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ দিনে ৫ লাখ ডিম বিক্রি করা হয়েছে। এভাবে ২০ লাখ ডিম বিক্রির টার্গেট রয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। একজন ২০ থেকে ৩০টি ডিম নিতে পারছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পিকআপ ভ্যান ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আর আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে স্বল্প মূল্যে ডিম কিনে বিক্রি করছি। সরকার ন্যায্যমূল্যে দরিদ্র মানুষের মাঝে ডিম বিক্রির একটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। যেটি আমরা বাস্তবায়নে কাজ করছি।’

সোহরাব হোসেন বলেন, ‘করোনা উপেক্ষা করে ঝুঁকি নিয়ে আমরা পথে পথে ডিম বিক্রি করছি। উদ্দেশ্য এ লকডাউনে মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা। প্রান্তিক ১৩ জন খামারির কাছ থেকে ডিম আনা হচ্ছে। বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া ও ফুলতলা থেকে ডিম আনা হয়। এ টাকায় খামারিদের মুরগির খাবারের পয়সাও হয় না। তারা টাকার জন্য নয়, মানুষের জন্য কিছু করতে স্বল্প মূল্যে ডিম বিক্রি করছেন। তবে খামারিদের অনেকেই সরকারি প্রণোদনা পেয়ে খুশি।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় ১৬ হাজার প্রান্তিক খামারি রয়েছে। এক হাজার ৩৬৭ পোল্ট্রি খামার রয়েছে। হাঁসের খামার রয়েছে দুটি।

নূরুজ্জামান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়