ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে হিলি পোর্টে কৃষ্ণচূড়া

মোসলেম উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২০, ৩ মে ২০২১   আপডেট: ১২:৩৩, ৩ মে ২০২১
সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে হিলি পোর্টে কৃষ্ণচূড়া

তীব্র রোদ। প্রচণ্ড দাবদাহ। ঘরে-বাইরে অসহনীয় গরম। হালকা দখিনা বাতাসে ভেসে আসছে ফুলের সৌরভ। উপর দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে লাল-সবুজের লুকোচুরি খেলা। এমন দৃশ্য দেখা যায় দিনাজপুরের হিলি পানামা পোর্টসহ ঘোড়াঘাট মহাসড়কের বিভিন্ন পাশে। কৃষ্ণচূড়া ফুল ফুটে আছে গাছে গাছে। প্রকৃতিকে সাজাতে মেতে ওঠেছে এই গাছগুলো।

বৈশাখ মাস, গাছে গাছে বের হচ্ছে নতুন পাতা, আর সেই পাতার মুখে উঁকি মারছে ফুল। হিলি পানামা পোর্টের গেট থেকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার রাস্তার এক কিলোমিটার পর পর দেখা যায় কৃষ্ণচরড়ার গাছ। গাঢ় লাল আর হলুদ রঙের ফুলে ছেঁয়ে গেছে পুরো কৃষ্ণচূড়া গাছ। 

ঝিরিঝিরি পাতার মাঝে বের হয়েছে ফুল। আর সেই ফুল মন কেড়ে নিচ্ছে পথচারী আর স্থানীয় প্রকৃতির প্রেমিদের। শষ্য-শ্যামলা আর সবুজে ঘেরা বাংলার রূপ, এই রূপকে আরও নতুন করে রূপ দিচ্ছে কৃষ্ণচূড়ার গাছ। বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীসহ রাস্তায় হেঁটে যাওয়া মানুষ দাঁড়িয়ে উপভোগ করছেন কৃষ্ণচূড়ার ছড়িয়ে দেওয়া সৌন্দর্য।

হিলি-ঘোড়াঘাট সড়কের সাতনি বাজারে পাশাপাশি দুইটি কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া একজন কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে কথা হয়, তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, কৃষ্ণচূড়া গাছ একটি প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের প্রতীক। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার সময় এই গাছটির পাশে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তার সুভাষ উপভোগ করতাম। করোনার প্রাদুর্ভাবে আর কলেজে যাওয়া হয় না। তাই তার সুভাষ উপভোগ নেওয়া হয় না।

হিলি পানামা পোর্ট গেটে দাঁড়িয়ে থাকা নিরাপত্তাকর্মী তাহের উদ্দিন বলেন, ‘এই পোর্টে ১ ও ৩ নং গেটে তিনটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে। এই গাছগুলো পোর্টের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে।’

পোর্ট শ্রমিক আবু বক্কর বলেন, ‘কৃষ্ণচুড়া গাছের দিকে তাকালে মন ভালো হয়ে যায়। আবার রৌদে খারাপ লাগলে ওই কৃষ্ণচূড়া গাছ তলায় বসি।’ 

কথা হয় একজন মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই কৃষ্ণচূড়ার সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতিবিজড়িত মুহূর্ত আছে। কলেজ জীবনে কলেজে কৃষ্ণচূড়া গাছ তলায় বসে বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে মেতে উঠতাম আড্ডায়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে হয়, আর মনে পড়ে যায় ফেলে আসা দিনগুলোর কথা।’

ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো কৃষ্ণচূড়া গাছ তলায় বসে থাকা স্থানীয় কবির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এই সড়কের চারপাশে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলছে কৃষ্ণচূড়া গাছটি। বিকেল হলেই বিভিন্ন বয়সী ছেলে-মেয়েরা এ গাছ তলায় ভিড় জমায়।’

কথা হয় সাতনি প্রাইমারি স্কুলের একজন প্রবীণ শিক্ষক আজিজুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার স্কুলে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে, যেটি ধরে রেখেছে স্কুলের সৌন্দর্য। এটি আমার চাকরি জীবনের স্মৃতি, চাকরির শুরুতেই আমি নিজ হাতে লাগিয়েছিলাম। স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষক আর ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিমাখা সময়গুলো আজও বহন করে আসছে।’

দিনাজপুর/মাহি  

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়