ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ২১ মে ২০২১  
মিয়ানমার সীমান্তের দুর্গম ম্রো পাড়ায় ডায়রিয়ার প্রকোপ

ফাইল ছবি

বান্দরবানের থানচি উপজেলার বড় মদক এর মিয়ানমার সীমান্তের পাতোয়া ম্রমো পাড়ায় গত কয়েকদিন ধরে অধিকাংশ পরিবারের ছোট বড় সবার ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্তের পাতওয়া ম্রো পাড়ায় ১৬ পরিবারের মধ্যে ৯-১০ পরিবারের সব সদস্য ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। গত মঙ্গলবার হতে পাড়াবাসী সীমান্তের বড় মদক বাজারের স্থানীয় ফার্মেসীর দোকান থেকে স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনে নিয়ে কোন মতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার কারনে ডাইরিয়া পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও ডায়রিয়ায় কেউ মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও জানা গেছে, ডাইরিয়ার প্রকোপের কারনে উপজেলার বড় মদক বাজার ও রেমাক্রী বাজারের স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ঔষধ  শেষ হয়ে যাওয়ায়  স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে গত মঙ্গলবার জানানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে উক্ত এলাকাগুলোতে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় স্থানীয় কারো সাথে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ মে) সন্ধ্যা ৭টা রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা (রনি) বলেন, আমার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে প্রায় মিয়ানমার সীমান্তে পাতোয়া পাড়ার লোকজন ফোনে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যাওয়ার কথা জানানোর পর আমি থানচি স্বাস্থ্য বিভাগকে স্বাস্থ্য সেবা টিম পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছি।

বান্দরবানের থানচিসহ বিভিন্ন উপজেলায় শুস্ক মৌসুমে তীব্র পানির সংকটের কারণে ঝিড়ি ও ঝর্ণার পানি পান করতে হয় স্থানীয়দের। এর ফলে ডাইরিয়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্তের এবং মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায় প্রতি বছর। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।

এই ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গত মঙ্গলবার বিষয়টি অবহিত করেন কিন্তু জনবল সংকট, যোগাযোগ বিছিন্নতা, নৌপথে নৌকা না পাওয়ায় সেখানে যেতে বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যান, মহোদয়ের কাছে নৌকার জন্য সহযোগিতা চেয়েছিলাম। কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সবশেষ বিজিবি’র সহযোগিতা চেয়েছি। কিন্তু ইঞ্জিন বোট সহযোগিতা পাওয়া না যাওয়ায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে শুক্রবার আমাদের রেমাক্রী ইউনিয়ন কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভাইডার (স্বাস্থ্য সহায়ক প্রদানকারী) সাচমং মারমা ও কয়েকজন স্বাস্থ্য সহায়ক (মাঠ কর্মী) পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজনীয় ডায়রিয়ার স্যালাইন, ওষুধ নিয়ে সীমান্তে পাতোয়ার পাড়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বাসু/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়