‘পরকীয়ার বলি দেবর’, অভিযোগে ভাই-ভাবি গ্রেপ্তার

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার ঘুমকান্দা গ্রামের লাক মিয়া (২০) পরকীয়ার বলি হয়েছেন। এ ঘটনায় তার ভাই তারা মিয়া (২৩) ও ভাবী রুমা আক্তারকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ মে) দুপুরে পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে লাক মিয়ার মৃত্যুর খবরে গত শুক্রবার (২৮ মে) বিকেলে লাক মিয়ার বাড়িতে যায় পুলিশ। কিন্তু মৃত্যু বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ সময় সন্দেহভাজন হিসেবে বড় ভাই ও ভাবীকে আটক করে পুলিশ।

ওসি জানান, পুত্রবধূর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে খুন হয়েছে ছেলে লাক মিয়া, এমন অভিযোগ এনে শনিবার (২৯ মে) বিকালে বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তারকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আবু সিদ্দিক ফকির।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ৪-৫ মাস ধরে পুত্রবধূ রুমা আক্তারের সঙ্গে তার ছোট ছেলে লাক মিয়ার প্রেমের সম্পর্কসহ অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তার বড় ছেলে তারা মিয়া ও পুত্রবধূ রুমা আক্তার ছোট ছেলে লাক মিয়াকে খুনের পরিকল্পনা করে। গত দুই দিন আগে তিনি ও তার স্ত্রী আছমা খাতুন ঢাকায় তার মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এ সুযোগে তার বড় ছেলে ও পুত্রবধূ লাক মিয়াকে শ্বাসরোধ করে করে হত্যা করে। হত্যার পরে তাকে মোবাইল ফোনে জানায় লাক মিয়া বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। আবার বলে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে নিহত ছেলের শরীরের দাগ দেখতে পান। আবু সিদ্দিক ফকিরের ধারণা, তার ছেলে লাক মিয়াকে গত শুক্রবার (২৮ মে) সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে তার বড় ছেলে ও পুত্রবধূ আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

আটক তারা মিয়া ও রুমা আক্তারকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। মামলার পরপরই তাদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।