ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কঠোর বিধিনিষেধের পরও জনসমাগম, ৭০ জনকে জরিমানা 

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ৫ জুন ২০২১   আপডেট: ১১:২৩, ৫ জুন ২০২১
কঠোর বিধিনিষেধের পরও জনসমাগম, ৭০ জনকে জরিমানা 

নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও রূপসায় কঠোর বিধি-নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন শুক্রবার (৪ জুন) অতিবাহিত হয়েছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিকেলের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। 

নগরীর ৭ নম্বর ঘাটের ভৈরব তীরে, সাতরাস্তা ও রয়্যাল চত্বরে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ব্যাপক জনসমাগম ছিল। আবার রূপসা পশ্চিম ও পূর্ব রূপসা এবং জেলখানা ঘাট ও সেনেরবাজারে ট্রলার পারাপারে ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। সরেজমিনে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।

এদিকে, মহামারি করোনা সংক্রমণ রোধে খুলনা, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুরে কঠোর বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ৭০ জনকে ৫৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সাতটি টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

শনিবার (৫ জুন) কঠোর বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে স্বাস্থ্যবিধি, নিরাপদ সুরক্ষা দূরত্ব এবং ঘোষিত বিধি-নিষেধ তদারকিতে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চলবে ১০ জুন পর্যন্ত।

করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় রূপসা উপজেলা, খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা এবং খালিশপুর থানায় জরুরি সেবা ব্যতীত সব দোকানপাট, মার্কেট ও শপিং মল বন্ধ। কঠোর এ বিধি-নিষেধ বাস্তবায়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নিরাপত্তা চৌকি রয়েছে পুলিশের।

নগরীর বিভিন্ন বাজারে (মুদি, কাঁচাবাজার, মাছ, মাংসের দোকান) গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। কেউ মানছেন না শারীরিক দূরত্ব।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক বলেন, নগরীর সার্কিট হাউজ ময়দান, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাকবাংলো মোড়, ফেরীঘাট মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, শিববাড়ী মোড়, ময়লাপোতা মোড়, রয়েলের মোড়, সাতরাস্তা মোড়, মজিদ সরণি, শেরে বাংলা রোড, নিউমার্কেট, সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, আড়াইশ বেড হাসপাতালের সামনে, বয়রা বাজার, মুজগুন্নি, নতুন রাস্তার মোড়, খালিশপুরের চিত্রালী বাজার ও বিআইডিসি রোডে অভিযান পরিচালিত হয়। বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে ৭০ জনকে ৫৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, গণবিজ্ঞপ্তিতে আরোপিত বিধি-নিষেধসমূহ সঠিকভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা- তা যথাযথভাবে তদারকি করতে এবং এ সকল বিধি-নিষেধ অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

প্রসঙ্গত, বিধি-নিষেধে বলা হয়েছে-কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান ও ন্যূনতম তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে হবে। ওষুধের দোকান সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পার্সেল অথবা প্যাকেটজাত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। সন্ধ্যার পর কোনো রাস্তার মোড়ে বা স্থানে একের অধিক ব্যক্তি অবস্থান করা বা একসঙ্গে চলাফেরা করতে পারবে না। রূপসা উপজেলার রূপসা খেয়াঘাট, জেলখানাঘাট-সেনেরবাজার খেয়াঘাট এবং উপজেলার বাজার ও দোকানপাটগুলোতে জনসমাগম করা যাবে না। উপজেলা সদরের ওষুধ, কাঁচাবাজার ও খাদ্যসামগ্রীর দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান ও মার্কেট বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরিধানসহ সব স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

এসব শর্তাবলী খুলনা মহানগর ও খুলনা জেলা সংশ্লিষ্ট উপজেলার সবাইকে কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হয়। অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খুলনা জেলা প্রশাসনের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

খুলনা/নূরুজ্জামান/বুলাকী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়