ইউএনও পদ্মাসন সিংহের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থেকে বদলি হওয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুন) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসীম উদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেন। সেসময় ইউএনও পদ্মাসন সিংহ তাহিরপুর উপজেলা সদরে অবস্থান করেন। সম্প্রতি তাঁকে তাহিরপুর থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় বদলি করা হয়।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থাকা অবস্থায় পদ্মাসন সিংহ উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম কিবরিয়া ওরফে কিবরিয়া মেম্বারের সঙ্গে যোগসাজশ করে মহাল বহিঃর্ভূত নদী থেকে অবৈধভাবে উক্তোলিত বালু নিলামে বিক্রির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গোপনে বিক্রি করে সরকারি মূল্য, ভ্যাট ও আয়করসহ রাজস্ব ফাঁকির পায়তারা করেন।

এ মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয় অভিযোগটি দুদক কার্যালয়ের ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট ১৫৯৬৭ নস্বর স্মারকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন প্রেরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। 

এ বিষয়ে ২০২১ সালের ৭ মার্চ তদন্ত দিন তারিখ নির্ধারিত থাকলে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অজুহাতে তদন্তের তারিখ পেছানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো তাহিরপুরের মাহারাম, শান্তিপুর মহাল বিহিন নদী থেকে অবৈধভাবে উক্তোলন করা কয়েক কোটি টাকার বালু জব্দ করেন। এরপর নিলাম আহ্বান করা হলেও কৌশলে ইউএনওকে ব্যবহার করে নিলাম ভন্ডুল করায় একটি সিন্ডিকেট।

পরবর্তীতে ইউএনওর সঙ্গে গোপন সমঝোতায় সরকারি কাজের অজুহাত তৈরি করে কিবরিয়া মেম্বার টানা কয়েকমাস ধরে ট্রলার বোঝাই করে সরকারি মূল্য, ভ্যাট আয়কর বা কোনো রকম রাজস্ব ছাড়াই কোটি টাকার বালু বিক্রি করে দেন।  

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার ইউএনও পদ্মাসন সিংহের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। 

সোমবার সন্ধ‌্যায় সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘সরজমিনে তদন্ত কাজ প্রায় শেষ করেছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তদন্ত প্রতিবেদন দুদকেও প্রেরণ করবেন তিনি।’