ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে হত্যার অভিযোগে আটক ১

পাবনা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৮, ২৫ জুন ২০২১  
প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে হত্যার অভিযোগে আটক ১

পাবনার ঈশ্বরদীতে চাপা হোসেন (৩২) নামে এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুককে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মানিক সরদারের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ছামেলা খাতুন (৪০) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ জুন) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। 
ছামেলা খাতুন মানিক সরদারের পুত্রবধূ এবং জাহিদুল সরদারের স্ত্রী।

প্রতিবন্ধী যুবকের বাবার নাম জানা না গেলেও তার বাড়ি পাবনার চাটমোহরে। তিনি ভ্যানে করে বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতেন। আটক ছামেলা খাতুনের বাবার বাড়িও চাটমোহরে।

এলাকাবাসীরা জানান, চাপা নামে ওই প্রতিবন্ধী যুবক ভ্যানে করে ঈশ্বরদীতে ভিক্ষা করতেন। এলাকায় পরিচিত হিসেবে চাপা প্রায়ই সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছামেলা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করতেন। তার সঙ্গে নিরঞ্জন (৩২) নামে এলাকার আরও এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক থাকত।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, হয়তো টাকা-পয়সার কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় চাপাকে পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গভীর রাতে লাশটি গুম করার চেষ্টা করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার রহিদুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে মানিক সরদারের বাড়িতে যায়। এ সময় তাদের বাড়ির ভেতরে ঢুকতে বাঁধা দেওয়া হয়।

পরে তারা বিষয়টি ঈশ্বরদী থানা পুলিশকে জানায়। ঈশ্বরদী থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। সে সময় অসংলগ্ন কথাবর্তা বলায় ছামেলা খাতুনকে আটক করা হয়।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লাশের শরীরে অসংখ্য ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আটক ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে এখনই সেটি বলা সম্ভব হচ্ছে না।

শাহীন/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়