যশোরে করোনা রোগী ও স্বজনদের ২২ দিন ধরে খাবার দিচ্ছে এসএসসি-৯১ ব্যাচ

যশোরে এসএসসি-৯১ ব্যাচের বন্ধুদের উদ্যোগে অসহায় রোগী, রোগীর স্বজন ও অসহায় মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ‘একবেলার খাবার’ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। যেটা শুরু হয়েছে ১ জুলাই। চলছে ২২ দিন ধরে। এমন মহতী উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলেও বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) জানিয়েছেন আয়োজকরা।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মারাত্মক বিস্তার ঘটার কারণে সমগ্র দেশে যখন লকডাউন চলছে। এমন সময় যশোর সদর হাসপাতালে অনেক অসহায় রোগী, রোগীর স্বজন ও অসহায় মানুষের মাঝে বিনামূল্যে ‘একবেলার খাবার’ বিতরণ কার্যক্রমের মতো এক অনন্য আয়োজন করে চলেছে এসএসসি-৯১ ব্যাচের বন্ধুরা।

করোনার এই কঠিন সময়ে যশোর সদর হাসপাতালে অনেক মানুষ কোভিডের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ সময় রোগী ও রোগীর সেবা দিতে আসা স্বজনেরা বিভিন্ন রকম সমস্যায় পড়ছেন।

হোটেল বন্ধ থাকায় খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এসএসসি-৯১ ব্যাচ, যশোর। বন্ধুদের উদ্যোগে অভুক্ত মানুষের একবেলার খাবার কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে অসহায় রোগীর স্বজনদের পাশে দাঁড়িয়েছে তারা। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট যশোর সদর হাসপাতাল চত্বরে রাত ৮টার সময় এই খাবার বিতরণ করা হচ্ছে রোগীর স্বজনদের মাঝে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে তাদের বিনামূল্যে ‘একবেলার খাবার’ বিতরণ। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

এসএসসি-৯১ ব্যাচের অন্যতম আয়োজক রাশেদ চৌধুরী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা নিজস্ব তত্ত্বাবধানে খাবার তৈরি করে নিজেরাই প্যাকেট করে ২ হাজার ৪২৭ জন রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে একবেলার খাবার বিতরণ করতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকাতে রোগীর সেবাদানকারী স্বজনরা বেশ সমস্যাতে পড়ছিলেন। তাই তাদের পাশে থাকবার জন্য আমাদের এই ‘একবেলার খাবার’ বিতরণের আয়োজন। খাবার বিতরণ এখনো অব্যাহত রয়েছে এবং থাকবে। 

আয়োজকদের আরেকজন সুজন দত্ত লালটু বলেন, ‘আমরা তো আমরাই’ স্লোগান বুকে ধারন করে কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করার পর বন্ধুদের ভিতর থেকে অসাধারণ সাড়া মিলেছে। দেশ-বিদেশ থেকে বন্ধুরা এ উদ্যোগে সহায়তা করছে। এমনকি বন্ধুদের আত্মাীয়রাও অংশগ্রহণ করেছেন।

রাশেদ, লালটু, প্রতীক, বজলু, বাবু, হাবিব, স্বপন, শুভ্র, শামীম, জুয়েল, অনুপম, তরিকুল, সুজন, বিপলুসহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে অসহায় রোগীর স্বজনদের মাঝে ‘একবেলার খাবার’ বিতরণের আয়োজন করে চলেছেন।

এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যশোরবাসী। যশোরের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।