ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনের কক্সবাজারের চিত্র

কক্সবাজার সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৩ জুলাই ২০২১  
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনের কক্সবাজারের চিত্র

বিধিনিষেধ শিথিলের পর শুক্রবার (২৩ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে আবার ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কক্সবাজারে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে ঈদুল আজহার পর কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনেই শহরে পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে দেখা গেছে। এসময় জেলা প্রশাসক নিজেই মাঠে ছিলেন।

কক্সবাজারের হলিডে মোড়, কলাতলী মোড়, লাবণী পয়েন্ট, ঘুনগাছ তলা, কবিতা চত্বর পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্টে পুলিশের টহল ও নজরদারি চোখে পড়ার মতো ছিল। কলাতলীর ডলফিন মোড়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করলেও শহর জুড়ে কোথাও কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান এবং ফার্মেসি খোলা রয়েছে। 

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ‌্যা পর্যন্ত পর্যটন নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বাজারঘাটা, বার্মিজ মার্কেট, কালুর দোকান, রুমালিয়ারছরা, বিজিবি ক্যাম্প ও বাসটার্মিনাল সড়কে কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। স্বাভাবিক নিয়মে রিকশা চলাচল করলেও চাহিদার তুলনায় কম ছিল। অনেকে হেঁটে হেঁটে প্রয়োজনীয় কাজে গেছেন। 

পৌর এলাকার বাসিন্দা সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘ঈদে বোনদের দেখতে যাওয়ারও সুযোগ পাচ্ছি না। লকডাউনের কারণে আবার গাড়ি চলাচল বন্ধ। রাস্তায় রিকশাও মিলছে না।’

ঘুনগাছ তলায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এই মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে ঈদের পর সরকার যে কঠোর লকডাউন দিয়েছে, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কোনো গণপরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র চিকিৎসা এবং অতিপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য রিকশা ও কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচল করছে।’

জেলা প্রশাসনের    সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা    বলেন, ‘সকাল থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের কয়েকটি টিম মাঠে রয়েছে। সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবতায়নে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। বিধিনিষেধ না মেনে অথবা নির্দেশ অমান্য করে কয়েকটি ফলের দোকান খোলা রেখেছিল। সেসব দোকানের পরিমাপের স্কেল জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন চলমান থাকবে।’ 

এদিকে, ঈদের পর পরই লকডাউনকে সহজে নিতে পারছেন না অনেকে। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয়ে গাড়ি না পাওয়া অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, এভাবে ঘনঘন লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো খুবই কষ্টে পড়ে যায়। জনসাধারণের কথা চিন্তা না করে ঈদের আনন্দ মাটি করে লকডাউন খুবই দুঃখজনক।

তারেকুর রহমান/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়