চামড়া পাচার রোধে সীমান্তজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরার ২৩৮ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে বিজিবি ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার পরে কোন চোরাকারবারি যাতে ভারতে পশুর চামড়া পাচার করতে না পারে সে জন্য সীমান্তজুড়ে কঠোর নজরদারী রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
শনিবার (২৪ জুলাই) সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি অধিনায়ক জানান, ভারতে চামড়া পাচার করতে না পারে সেজন্য জেলার সীমান্ত এলাকাজুড়ে বিজিবি বিশেষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় মাদ্রাসার দিকেও নজর রয়েছে বিজিবির।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চামড়া পাচার রোধে বিজিবির পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ চেকপোস্ট বসানোসহ গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সরকার চামড়ার দাম নির্ধারিত করে দিলেও ট্যানারি মালিকরা সেই দামে কিনছে না।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনে তার থেকে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা । এবছর প্রতি পিস গরুর চামড়া ২শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকা ও ছাগলের চামড়া ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রাম ও পাড়া মহল্লায় ঘুরে সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনে ট্যানারি মালিকদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। কিন্তু ট্যানারি মালিকরা সরকারের নির্ধারিত দাম দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ তাদের।
চামড়া শিল্পে জড়িত শ্রমিক মনোরঞ্জন দাশ, বাসুদেব দাশসহ অনেকেই জানান, চামড়ার দাম কম। তা ছাড়া ঢাকার মালিকরা বছরের পর বছর পাওনা টাকা শোধ না করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চামড়া ক্রয় করছেনা। ফলে চামড়ার আড়তে খেটে খাওয়া মানুষগুলো আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে।
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার চামড়া ব্যবসায়ী মহাদেব দাশ জানান, সরকার চামড়ার দাম নির্ধারিত করে দিলেও ট্যানারি মালিকরা সেই দামে চামড়া কিনছে না।
ট্যানারি মালিকরা বিগত ৮ বছরের টাকা এখনও পরিশোধ করেনি বলেও জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওলিউর রহমান জানান, চামড়ার প্রকৃত মূল্য প্রাপ্তির পাশাপাশি চামড়া শিল্পকে সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে, কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থা করতে হবে বলে মনে করেন স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা।
শাহীন গোলদার/টিপু
আরো পড়ুন