ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী কর্মজীবীদের ঢল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ৩ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১২:৩০, ৩ আগস্ট ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকায় ফিরতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের হিড়িক পড়েছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের অধিকাংশই পোশাক কারখানার শ্রমিক।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যান ও যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।  শিমুলিয়া বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ৪টি রো রো ও ৬টি কেটাইপসহ সচল দশটি ফেরিতে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পারাপার হচ্ছে শতশত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি।

জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতামুক্ত পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।  বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটিতে ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ফেরিতে গাদাগাদি যাত্রীর চাপে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

সরেজমিনে জানা গেছে, শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছানো ঢাকামুখী যাত্রী ও পোশাকশ্রমিকরা পরিবহন সংকটে চরম বিপাকে পড়েছেন। সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে ঢাকার পথে যাচ্ছেন তারা।  বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের।

জিয়াসমিন সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বাধ্য হয়ে ঢাকায় ফিরছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের গার্মেন্টস খুলছে। বাধ্য হয়েই ঢাকা যেতে হচ্ছে।  না গেলে তো চাকরি থাকবে না।’

ঢাকার মিরপুরের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক রকিব হোসেন বলেন, ‘গাড়ি চালু না করেই গার্মেন্টস খুলে দিল।  এটা কেমন সিদ্ধান্ত।  এখন আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে।  ভাড়াও বেশি লাগেছে’।

কুদ্দুস শেখ নামের আরেক পোশাক শ্রমিক বলেন, ‘অফিস থেকে বারবার কল দিচ্ছে।  ২০০ টাকার ভাড়া ৮০০ টাকা দিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি’।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে দশটি ফেরি চলাচল করছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। ঘাটে যানবাহনের উপস্থিতি রয়েছে দেড় শতাধিক। গাড়ির চাপ কম থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যেসব গাড়ি পারাপারের জন্য আসছে, তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ খুব বেশি। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আগত প্রতিটি ফেরিতেই চাপ রয়েছে।  পোশাক কারখানা খুলেছে, তাই যাত্রীদের উপস্থিতি বেশি।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ (টিআই প্রশাসন) মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ আছে।  ছোট গাড়িতে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

মাওয়া নৌফারির ইনচার্জ মো. সিরাজুল কবির বলেন, সকাল থেকে দেখা যায়, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীদের গাদাগাদি। গাড়ির তুলনায় প্রতিটি ফেরিতেই যাত্রীসংখ্যা বেশি। এসব যাত্রী শিমুলিয়া ঘাটে এসে গাড়ির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। নৌপুলিশ ফাঁড়ির সামনের সড়ক থেকে অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যানে করে রাজধানীর উদ্দেশে যাচ্ছেন যাত্রীরা। মুহূর্তের মধ্যেই প্রতিটি গাড়ি যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে।  লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রতন/এসবি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়