ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

মুন্সিগঞ্জে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

শেখ মোহাম্মদ রতন, মুন্সিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১১, ৫ আগস্ট ২০২১  
মুন্সিগঞ্জে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

বর্ষা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের খাল-বিল, নদী-নালায় পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে নৌকার চাহিদা বাড়ছে। এতে স্থানীয় হাটে-বাজারে নৌকা বিকিকিনির পাশাপাশি কাঠ মিস্ত্রিরাও নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এছাড়াও স্থানীয় অনেকেই পুঁজি খাটিয়ে অভিজ্ঞ কারিগর দিয়ে বিভিন্ন আকার ও সাইজের নৌকা তৈরি করে পাইকারি বিক্রি করছেন। এমন দৃশ্য দেখা যায় মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।

উপজেলার তিন দোকান, পাটাভোগ, কুকুটিয়া, রানা, সাতগাঁও, ষোলঘরসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে কাঠ মিস্ত্রিরা কোষা নৌকা বানাচ্ছেন। এসব নৌকা তৈরির কাজে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করছেন চাম্বল, মেহগনি, কড়ইসহ অন্যান্য জাতের কাঠ। ৪/৫ জন কারিগর মিলে দৈনিক ৩ থেকে ৪টি ডিঙ্গি কোষা তৈরি করছেন। ৮ হাত দীর্ঘ একটি নৌকার পাইকারি দাম ধরা হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। আকার ও সাইজ অনুসারে এসব নৌকার দাম কম বেশি হতে পারে। দেখা গেছে, পূর্ব পাটাভোগের নজরুল নামে এক ব্যক্তি বেশ কয়েকজন কাঠ মিস্ত্রি নিয়ে সকাল-সন্ধ্যা নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কাঠ মিস্ত্রি জাহিদুল জানান, নৌকার চাহিদা থাকায় বর্ষায় তারা রোজ চুক্তিতে নৌকা তৈরির কাজ করেন। একাজে তারা ৪/৫ জন মিলে প্রতিদিন বেশ কয়েকটি কোষা নৌকা বানাতে পারেন। তাদের তৈরি নৌকা পাইকারি দরে শ্রীনগর দেউলভোগ নৌকার হাটসহ অন্যান্য হাটেও বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার শ্রীনগরের দেউলভোগ হাটে প্রায় শতাধিক রেডিমেট নৌকা বিকিকিনি হচ্ছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গোয়ালীমান্দ্রা হাটেও নানা ধরনের নৌকা বিক্রি হয়ে থাকে। বর্ষা এলেই এসব নৌকা তৈরি কাজে কাঠ মিস্ত্রিদের কদর বাড়ে। একজন কারিগরের সর্বনিম্ন দৈনিক মজুরি ধরা হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা করে।

ষোলঘর এলাকার নৌকা ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, কাঠের মান ও সাইজ অনুসারে রেডিমেট এসব কোষা নৌকার দাম নির্ধারণ করা হয়। কাঠের মান ও আকার অনুসারে রেডিমেট নৌকা সর্বোনিম্ন আড়াই হাজার থেকে শুরু করে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এছাড়াও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নৌকা তৈরির অর্ডার নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে দেউলভোগ নৌকা হাটের ইজারাদার মো. সাগর জানান, জেলায় ঐতিহ্যবাহী দেউলভোগ নৌকার হাটটির ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। এই অঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠির বড় একটি অংশ বর্ষার কয়েক মাস যাতায়াতের জন্য নৌকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। এদের অনেকেই এই হাটে নৌকা কিনতে আসেন। প্রত্যেক মঙ্গলবার সাপ্তাহিক নৌকার হাট বসলেও বর্তমানে প্রতিদিনই এখানে বিক্রি হচ্ছে। 

/মাহি/ 

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়