ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

খুলনায় ৩ ঘণ্টায় টিকা শেষ, অনেকে ফিরে গেলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা    || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২২, ৭ আগস্ট ২০২১   আপডেট: ১৭:৪৬, ৭ আগস্ট ২০২১
খুলনায় ৩ ঘণ্টায় টিকা শেষ, অনেকে ফিরে গেলেন

খুলনা মহানগরী ও জেলার কেন্দ্রে টিকা ফুরিয়ে গেলো মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণটিকা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না পেয়ে অনেককেই বাড়িতে ফিরতে হয়েছে। 

টিকা কেন্দ্রে ছিলো মানুষের ভিড়। ছিলো না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। গাদাগাদি করে লাইনে টিকার জন্য অপেক্ষা করেছেন সবাই। অনেক কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। 

শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে নগরীর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। হালকা বৃষ্টির মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রী, মা-মেয়ে দল বেধে কেন্দ্রে হাজির হন। কোথাও কোথাও দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বেলা ১২টার দিকে খবর আসে টিকা ফুরিয়ে গেছে। বিফল মনোরথে ফিরতে হয় অধিকাংশকে।

বৃহস্পতিবার নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে কেসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করে বলা হয়, শনিবার থেকে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা দেওয়া হবে। নগর স্বাস্থ্য ভবনে সকাল ৯টা থেকে দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। 

২৩নং ওয়ার্ডের অধিবাসী প্রশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী শর্মী বিশ্বাস, শিবপদ বিশ্বাসের স্ত্রী সাধনা বিশ্বাস, শেখ মুনসুর রহমানের স্ত্রী সোনালী পারভীন, নিখিল সরকারের স্ত্রী কৃষ্ণা রাণী সরকার, প্রশান্ত সরকারের ছেলে উত্তম সরকারসহ শতাধিক মানুষ সকাল ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলকমনি শিশুপার্ক কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রে ২০০ নারী-পুরুষকে টিকা দেওয়ার পর দুপুর ১২টা নাগাদ খবর আসে টিকা শেষ।

সবুরননেছা কেন্দ্রে ১২টার মধ্যে ২০০ নারী-পুরুষ টিকা নেন। অপেক্ষমাণ ছিলেন আরও ৫০ নারী-পুরুষ। তবে স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের ফিরিয়ে দেন।  

খুলনা আলীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ২০০ নারী-পুরুষ টিকা নিয়েছেন। বেলা পৌনে ১টা নাগাদ কর্মসূচি শেষ হয়। বাবু খান রোড, হাজী মহসীন রোড ও খানজাহান আলী রোডের শতাধিক মানুষ এ কেন্দ্র থেকে ফিরে যায়। 

মিউনিসিপ্যালিটি ট্যাংক রোডের ২৯নং ওয়ার্ড থেকে একই ওয়ার্ডের মিন্টু সরদার ও হাফিজুল হক টিকা পেয়ে খুশি। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ তাদের কার্ডে লিপিবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

তিন ঘণ্টার মধ্যে সকল কেন্দ্রের টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে  খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল অফিসার স্বপন কুমার হালদার বলেন, নগর স্বাস্থ্য ভবনে ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ মর্ডানার টিকা মজুদ আছে, যা পরবর্তী ১৪ আগস্ট দেওয়া হবে। তবে টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও বিশৃঙ্খলার বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, টিকা না নিয়ে কেউ ফিরে গেছেন কি-না তা তার জানা নেই। তবে আজকের টিকা কার্যক্রম পরীক্ষামূলক হওয়ায় কিছু ত্রুটি হতে পারে, যা পরবর্তী তারিখে ঠিক করা হবে। 
 

নূরুজ্জামান/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়