সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ভারি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নদীপাড়ের হাজারো পরিবার।
একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যমুনা ও অভ্যন্তরীণ চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলজোড় ও বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চলের নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলার কাজীপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, তেকানি, মুনসুরনগর ও খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন এবং চৌহালী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুরু হওয়া ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বসতভিটা।
জেলার ৭টি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন জনসাধারণ। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। নদীর পাড় থেকে ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন ভাঙন কবলিতরা।
চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বেনুনাই গ্রামে কয়েকদিন ধরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। এসব এলাকার ১৩টি গ্রামের অসংখ্য বসতবাড়ি ধীরে ধীরে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম ভুঁইয়া জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাচ্ছে গো-চারণ ভূমি ও ফসলি জমি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের শত শত পরিবার।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, অতিমাত্রায় বৃষ্টির কারণে যমুনায় পানি বাড়ছে। আরও কয়েকদিন পানি বাড়বে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র। তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।
অদিত্য রাসেল/টিপু