ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

সিনহা হত্যা মামলা: পরবর্তী  সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর 

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  
সিনহা হত্যা মামলা: পরবর্তী  সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ সেপ্টেম্বর 

আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত দ্বিতীয় দফার টানা চার দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর)।

পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর। এর আগে ২৩, ২৪ এবং ২৫ আগস্ট প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

মামলার ৬নং সাক্ষী শামলাপুর বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় দফার টানা চারদিন সাক্ষ্যগ্রহণ।

বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ১০টা থেকে শুরু হওয়া সাক্ষ্যগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, 'আজ ৬ষ্ঠ সাক্ষীর জবানবন্দি ও আসামীপক্ষের আইনজীবীদের জেরা শেষ হয়েছে। এ নিয়ে মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণের সমাপ্তি ঘটে। পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আগামী ২০, ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর।

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত‌্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে। মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে, সিনহা হত্যা মামলাটি বেআইনি ও অবৈধ দাবি করে ৪ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলার বিশেষ কোনো অগ্রগতি এখনও পর্যন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার/তারেকুর/এমএম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়