ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সখীপুরের ৭৯ বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরি, পরিচ্ছনতায় নেমেছেন শিক্ষকরা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৫২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১  
সখীপুরের ৭৯ বিদ্যালয়ে নেই দপ্তরি, পরিচ্ছনতায় নেমেছেন শিক্ষকরা

করোনাভাইরানের কারণে দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর রবিবার খুলছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলছে ধোয়ামোছাসহ নানা প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম। তবে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৯টিতে নেই কোনো দপ্তরি। এ অবস্থায় উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই নেমে পড়েছেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধোয়ামোছার কাজে।   

সখীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, করোনা সংক্রমণরোধে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।  

সরকারি ঘোষণার পর থেকে উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৭টি মাদরাসা, কারিগরি ১০টি কলেজসহ (উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত) ১৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে এ উপজেলার ৭৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোনো দপ্তরি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের চাম্বলতলা, বেলতলী ধলীপাড়া, দেবলচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছা করছেন।  

চাম্বলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছেন মাত্র তিনজন শিক্ষক। তাদের মধ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেফালী আক্তার বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে কোনো দপ্তরি নেই। এ কারণে আমরা নিজেরাই বালতিতে পানি নিয়ে বেঞ্চ পরিষ্কার করছি। শ্রেণিকক্ষ আর আঙিনা ঝাড়ু দিয়েছি। এরপরও দুইজন শ্রমিক দিয়ে বিদ্যালয়ের চারপাশে জমে থাকা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করানো হয়েছে।’

একই অবস্থা বেলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। ওই বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক শেষমুহুর্তে শ্রেণিকক্ষ পরিস্কারের কাজে ব্যস্ত।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুননাহার বলেন, ‘দপ্তরি না থাকায় নিজেদেরই শ্রেণিকক্ষ ঝাড় দিতে হচ্ছে। এরপরও দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের নলকূপ বিকল হয়ে আছে। সেটি মেরামতের কাজ চলছে।’

সখীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘উপজেলার দপ্তরিহীন ৭৯টি বিদ্যালয়ে দ্রুত দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, শরীরের তাপমাত্রা মাপার মেশিন আর একটি আলাদা আইসোলেশন কক্ষ ঠিক করে রেখেছেন।  স্কুল খোলার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব কার্যক্রম চালানো হবে।’

সখীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রস্তুত রাখতে সব ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকার বিষয়টিও জানানো হয়েছে।  যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দপ্তরি নেই, তাদের দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

কাওছার/মাসুদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ