ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৬ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আলমের কাঁচামরিচের চা এক কাপে মন ভরে না

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  
আলমের কাঁচামরিচের চা এক কাপে মন ভরে না

দুধ চা, লাল চা, মালাই চা এমনকি কড়া বা গাড়ো লিকারের চায়ের কথা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু আলম হোসেন তেঁতুল, লেবু আর কাঁচামরিচের চা বিক্রি করে স্থানীয়ভাবে সাড়া ফেলেছেন। বিশেষ করে তার হাতের কাঁচামরিচের চা পান করতে শহরের বাইরে থেকেও আসেন চা-প্রেমীরা।

দিনাজপুর সদরের পুলহাট এলাকার স্টেডিয়াম মাঠের দক্ষিণে আলম হোসেনের চায়ের দোকান। বসার তেমন জায়গা নেই, একটি বেঞ্চ ছাড়া। তবুও ভিড় এতটুকু কমে না দোকানে। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে আলমের বানানো চা তৃপ্তি নিয়ে পান করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরে একমাত্র তার দোকানেই এতো পদের চা তৈরি হয়। এবং রিকশাচালক থেকে শুরু করে অফিসের কেরানী বা কলেজ পড়ুরা শিক্ষার্থী সবাই তার গ্রাহক।

আলমের কাজ শুরু হয় সেই ভোরে। আশপাশের মানুষ জেগে ওঠার আগেই তিনি দোকান গুছিয়ে নিয়ে চুলার আগুন জ্বালিয়ে দেন। এই আগুন নেভে রাত দুপুরে। এর মাঝে এতটুকু বিরাম নেই তার। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ কাপ চা বিক্রি হয়। এর মধ্যে কাঁচামরিচের চা বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি; প্রায় ১৫০ কাপ। প্রতি কাফ কাঁচামরিচের চায়ের মূল্য ১০ টাকা। সারাদিনের ব্যবসা শেষে আলমের লাভ প্রায় ৬০০ টাকা। এই টাকাতেই তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে চলে আলমের সংসার।

জেলার বিরামপুর উপজেলা থেকে আলমের দোকানে চা পান করতে আসা মাহাবুব রহমান বলেন, আমি প্রায়ই বিভিন্ন কাজে জেলাশহরে আসি। কাজ শেষে আলম ভাইয়ের দোকানে এক থেকে দুই কাপ কাঁচামরিচের চা পান করি। তার চায়ে অনেক স্বাদ, আজকেও দুই কাপ চা পান করেছি। এক কাপে মন ভরে না। 

আলম হোসেন জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় আছেন। প্রতিদিন নানান জায়গা থেকে চা পান করতে মানুষ দোকানে আসে। ফলে তাকেও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। না হলে দোকানের সুনাম নষ্ট হবে। এই সুনাম বাঁচাতে আলমের প্রচেষ্টা হতে পারে অনেকের অনুপ্রেরণা। 
 

মোসলেম/তারা 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়