ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য তৈরী হলো ঝুলন্ত সেতু

বান্দরবান প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৩, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১  
বান্দরবানে পর্যটকদের জন্য তৈরী হলো ঝুলন্ত সেতু

বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটন স্পট ও পর্যটকের আনাগোনা থানচি উপজেলায়। আর এবার পর্যটকদের জন্য দৃষ্টি নন্দন সবচেয়ে বড় ঝুলন্ত সেতু তৈরী হলো মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলার থানচি উপজেলার বড় মদকে।  

ঝুলন্ত সেতু তৈরি হওয়ায় উপজেলাটির পর্যটন শিল্পের বিকাশ আরো একধাপ এগিয়েছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পর্যটক ও বড়মদক বাজারের লোকজনের যাতায়াতের জন্য সাংগু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯-২১ অর্থ বছরে নির্মান করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ। পর্যটনকে একধাপ এগিয়ে নিতে নতুন এই ঝুলন্ত সেতু বলে মনে করছে সীমান্তে বসবাসরত মানুষ।  

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) ঝুলন্ত সেতুটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।  

বড় মদক বাজারের বাসিন্দা অংশৈম্যা মারমা জানান, এ ঝুলন্ত সেতু নির্মানের ফলে বড় মদক অঞ্চলে একটি মাত্র সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ে ওপারের কোমল মতি শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।

একই বাজারের বাসিন্দা উবামং মারমা বলেন, ওপারে কারবারী পাড়া, উসামং পাড়া, ঙাসালাং পাড়া, উসাথোয়াই পাড়া, জুগিরাং পাড়া, চাইশৈউ পাড়া, বাসিংঅং পাড়া, পাতোয়া ম্রো পাড়া, অংগি খুমী পাড়া, ঙারেসা পাড়া, য়ংনং ম্রো পাড়াসহ প্রায় ৩০টি পাড়ার মানুষজন বর্ষাকালে সাংগু নদীর কারণে এপারে আসতে অনেক কষ্ট করেন।  

তিনি আরো জানান, নদীতে পানি বেশি থাকলে অনেক কষ্ট হয়েছিল এপারে আসতে, সুতরাং এ ঝুলন্ত সেতু হবে দুই পারের ৫ হাজার মানুষের সেতুবন্ধন।

থানচির রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা বলেন, থানচি উপজেলা দুর্গম সীমান্তে বিনোদন, পর্যটন, আর ওপার এপার পারাপারে জন্য ঝুলন্ত সেতুটি অনেক উপকারে আসবে।

আরো জানা গেছে, বান্দরবান থেকে পর্যটকরা থানচি উপজেলার তিন্দু, রেমাক্রি ও নাফকুম পর্যটন স্পটে ভ্রমনের জন্য গেলেও এখন থেকে তারা বান্দরবান জেলা থেকে ১৬০ কি:মি দূরত্বের এই ঝুলন্ত সেতু দেখার জন্য বড়মদক এলাকা ভ্রমনে যাবে।  যার ফলে সাঙ্গু নদীতে একদিকে নৌ ভ্রমন, অন্যদিকে এলাকাটির অপরুপ প্রকৃতিক পরিবেশ দেখে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে বহুগুন।

এই ব্যাপারে থানচির পর্যটক গাইড জাহেদুল ইসলাম ইমন বলেন, ঝুলন্ত সেতুর কারনে সেখানে অবশ্যই পর্যটকের সংখ্যা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বেড়ে যাবে।

পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী থোয়াইচমং মারমা বলেন, অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে বড় মদকবাসীদের দাবীর প্রেক্ষিতে ঝুলন্ত সেতু নির্মান করতে পেরেছি। পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা এর নির্দেশ ক্রমে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের উদ্যেগ গ্রহন করা হয়ে হয়েছিলো।

বাসু/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়