ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

৫০ বছরেও নির্মাণ হয়নি বিরামপুর সীমান্তে যমুনা নদীর ব্রিজ 

দিনাজপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ১২:৩৬, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
৫০ বছরেও নির্মাণ হয়নি বিরামপুর সীমান্তে যমুনা নদীর ব্রিজ 

দিনাজপুরের বিরামপুর ও হাকিমপুর উপজেলার বুকচিরে বয়ে যাওয়া চৌঘুরিয়া ঘাটে ছোট যমুনা নদী।  নদীর দুই পাশের ১০ থেকে ১২টি গ্রামের প্রায় ২০ থেকে ২২ হাজার মানুষের যাতায়াত এই ঘাট দিয়ে।  ব্রিজ না থাকায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হয় গ্রামবাসীদেরকে।

নদীর পশ্চিমে আছে বিরামপুর সীমান্তের চৌঘুরিয়া, রামচন্দ্রপুর, বনগাঁ, দামোদরপুর ও দাউদপুর গ্রাম।  ঘাটের পূর্ব দিকে আছে হিলির ঘাসুড়িয়া, নয়ানগর, খট্রা-মাধবপাড়া, মংলাসহ কয়েকটি গ্রাম।  ঘাসুড়িয়া ও চৌঘুরিয়া গ্রামের মাঝ দিয়ে ছোট যমুনা নদীটি প্রবাহিত।  নদীর পশ্চিম পাশের গ্রামগুলোতে আছে প্রায় ১০ হাজার পানের বরজ।  যার উপর নির্ভর করে ২ হাজার পান চাষিরা।  চাষিদের পান নিয়ে এই ঘাট দিয়ে আসতে হয় হিলি বাজারে।  আবার অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের এই ঘাট দিয়েই হিলির স্কুল-কলেজে আসতে হয়।  নদীর দুই পাশের লোকজন ৭ কিলোমিটার ঘুরে কাটলা ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। ঘাটটিতে ব্রিজ না থাকায় শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময় স্কুল-কলেজে পৌঁছাতে পারে না। এই ঘাটে নৌকা আছে, কিন্তু সেগুলো বড় ও মজবুত নয়। বাইসাইকেল ছাড়া অন্য কোন যানবাহন উঠতে পারে না। ঝুঁকি নিয়ে পান চাষিরা এই ছোট নৌকাতেই যাতায়াত করেন। 

চৌঘুরিয়া গ্রামের পান চাষি সোহারাব হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, হিলিতে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসে।  এই ঘাট দিয়ে হিলি অনেক কাছে হয়।  ব্রিজ না থাকায় অনেক সময় প্রায় ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে পান নিয়ে হিলিতে যেতে হয়।  সরকার যদি এই ঘাটে একটা ব্রিজ করে দেয় তাহলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

হিলির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশির আহম্মেদ বলেন, প্রতিদিন ছোট নৌকা দিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয়।  ভয় লাগে, তবুও যাই।

একজন সাইকেল আরোহী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দাউদপুর মেয়ে জামাই বাড়ি, প্রতি সপ্তাহে একবার করে আসতে হয়।  তবে এই ঘাট দিয়ে জামাই বাড়ি খুব কাছে হয়।  কষ্ট হলেও যাই।  

একজন স্থানীয় তছির উদ্দিন বলেন, দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত ব্রিজ হয়নি, কবে হবে তাও জানি না। আমাদের প্রাণের দাবি এই ঘাটে একটা ব্রিজ হবে। ব্রিজটি হলে মানুষের উপকার হবে।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার রাইজিংবিডিকে বলেন, কাটলা ইউনিয়নের চৌঘুরিয়া ঘাটের বিয়ষটি অনেক শুনেছি।  মানুষের পারাপারের অনেক কষ্ট হয়, সেখানে একটা ব্রিজের খুবি দরকার।  আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি এবং আগামী মিটিংয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট তুলে ধরবো।

এ বিষয়ে দিনাজপুর-৬ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, ব্রিজ ছাড়া ঐ এলাকার মানুষের অনেক কষ্ট হয়।  আমি ইতিমধ্যে চৌঘুরিয়া ঘাটের ব্রিজটির জন্য ঢাকায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি।  আশা করছি ব্রিজটির নির্মাণের অনুমোদন পেয়ে যাবো।

মোসলেম/সুমি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়