দৌলতদিয়ায় সাড়ে ৬ কি. মি. জুড়ে গাড়ির সারি

ফেরির সংকটের কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িসমূহ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে আটকা পড়েছে। এসব গাড়িকে ফেরিতে উঠতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার জুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে।

সোমবার (০৪ অক্টোবর) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাট এলাকার জিরো পয়েন্ট (৩ নম্বর ফেরি ঘাট) থেকে সাড়ে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি পরেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই নৌরুটে যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা ।

দীর্ঘ সিরিয়ালে আটকে থাকা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের এক যাত্রী মনির হোসেন বলেন, ‘সকাল ১০টায় যশোর থেকে ঢাকার জন্য রওনা হয়েছি। দৌলতদিয়ায় পৌঁছেছি ২ ঘণ্টা হয়ে গেছে। তবে এখনো ফেরি ঘাটে যেতে পারেনি। কতো সময় লাগবে সেটি বলতে পারছি না।’ 

তিনি জানান, স্ত্রী সন্তান নিয়ে লঞ্চে পার হবেন তাও তিনি করতে পারছেন না। 

ভারত থেকে মার্বেল পাথর বোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা ট্রাক চালক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘শুনেছিলাম সোমবার ঘাট ফাকা থাকবে। কিন্তু ভোর ৪টার সময় এসে দেখি বিশাল সিরিয়াল। ৮ ঘন্টা সিরিয়ালে থেকে দুপুর ১২ টার সময় টোল কমপ্লেক্স পর্যন্ত আসতে পেরেছি। বিকেলের মধ্যে নদী পার হতে পারবো কিনা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশের সার্জেন্ট আরিফুল হক বলেন, ‘অন্য দিনের চেয়ে সোমবার গাড়ি বেশি আসছে। এছাড়া ঘটে ২০ টি ফেরির জায়গায় ১৭ টি ফেরি চলাচল করছে। এতে যানযট সৃষ্টি হয়েছে।’

বিআইডাব্লিউটিসি দৌলতদিয়া শাখার সহকারী মহা ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: শিহাবউদ্দিন বলেন,  ‘দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করে। কিন্তু বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩টি ফেরি পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস ধরে বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সব রুটের অধিকাংশ গাড়ি এ ঘাট ব্যবহার করছে। যে কারণে দৌলতদিয়া এবং পাটুরিয়া উভয় ঘাটে যানবাহনের লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে।’