ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

প্রতিদিন ২টি ভালো কাজসহ ৬ শর্তে ৭০ শিশুকে সংশোধনের সুযোগ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৪, ১৩ অক্টোবর ২০২১   আপডেট: ১৬:৪৭, ১৩ অক্টোবর ২০২১

প্রতিদিন ২টি ভালো কাজ করাসহ ৬টি শর্তে সুনামগঞ্জে ৫০টি মামলায় ৭০ জন শিশুকে সংশোধনের জন্য কারাগারে না পাঠিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে বাবা-মায়ের জিম্মায় দিলেন নারী ও শিশু আদালত।

বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এ রায় দেন সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) নান্টু রায়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুদেরকে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছিল। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতেই এই রায় দিয়েছেন আদালত। লঘু অপরাধের ৫০টি মামলায় ৭০ শিশুকে সংশোধনের সুযোগ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর পরিবর্তে ফুল দিয়ে বরণ করে বাবা-মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন। ছোট একটি অভিযোগে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা নিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে হত শিশুদের। এসব অসুবিধা থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রেখে সংশোধনের জন্য বাবা-মায়ের জিম্মায় পাঠিয়েছেন আদালত। পরিবারের সান্নিধ্যে এসব শিশুরা স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারবে। এজন্য ৬টি শর্তে আদালত মামলাগুলো নিষ্পত্তি করেন।

শর্তগুলো হলো-প্রতিদিন ২টি করে ভালো কাজ করা এবং তা তাদেরকে আদালত থেকে দেওয়া ডায়েরিতে লিখে রাখা ও বছর শেষে ডায়েরি আদালতে জমা দেওয়া। বাবা-মাসহ গুরুজনদের আদেশ নির্দেশ মেনে চলা, বাবা-মায়ের সেবা যত্ন করা ও বিভিন্ন কাজে তাদেরকে সহযোগিতা করা। নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পড়া এবং ধর্মকর্ম পালন করা, অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করা, মাদক থেকে দূরে থাকা, ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সঙ্গে নিজেকে না জড়ানো।

নারী ও শিশু আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) নান্টু রায় বলেন, এই রায়ের ফলে ছোট ছোট অনেক মামলা নিষ্পত্তি হল। আদালতের দেওয়া গাইডলাইনগুলো তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। ব্যতিক্রমী এই রায়ে আইনজীবীসহ আমরা সবাই খুশি।

আদালত থেকে দেওয়া এসব শর্ত শিশুরা মেনে চলছে কি না তা আগামী ১ বছর প্রবেশন কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ শফিউর রহমান পর্যবেক্ষণ করবেন এবং প্রতি ৩ মাস পরপর আদালতকে অবহিত করবেন।

আল আমিন/সুমি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়