ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র
মো. মামুন চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম
দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলার মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দেয়াল ও ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে। যে কোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা।
হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশের মুখে ২নং পুল এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে ঝুঁকির মধ্যেই চলছে প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সেবা। গত ৯ মাসে এ কেন্দ্রে ৭৫৬টি নরমাল ডেলিভারি ও ১০টি সিজার হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৬৫ সালে ভবন নির্মাণ হওয়ার পর এ কেন্দ্রে সেবা শুরু হয়। শুরুতে ১০ শয্যায় মা ও শিশুর সেবা হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ভবনটি সম্প্রসারণ করা হয়। ১৯৯২ সালের ৩০ ডিসেম্বর উদ্বোধন করা হয় সম্প্রসারিত ভবনের। ১৯৯৫ সাল থেকে নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি সিজার সেবাও শুরু হয়। সেই সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয় কিশোর-কিশোরীদের সেবা। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে মা ও শিশুদের জন্য ১১ এবং পরিবার পরিকল্পনায় ৮ রকমের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়- মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ভবনের অনেক জায়গাতেই ফাটল। দেয়াল ও ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ার চিহ্ন। ২য় তলার টয়লেটের ময়লা পানি নিচ তলার রোগীর রুমে এসে প্রবেশ করছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রাস্তা থেকে নিচু হওয়ায় বর্ষায় পানিও জমছে। আর এ অবস্থার মধ্যেই রোগীদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা প্রদান করছেন কেন্দ্রের সয়শ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
কয়েকজন রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ কেন্দ্র থেকে তারা যথাযথ সেবা পাচ্ছেন। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় রোগীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ক্লিনিক ডা. আকলিমা তাহেরী বলেন- চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৭৫৬টি নরমাল ডেলিভারি ও ১০টি সিজার হয়েছে। এছাড়া মা ও শিশু এবং কিশোরী সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ভবনের এ অবস্থার কথা জেলা অফিসে জানানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, ভবনের সংস্কার ও নতুন ভবনের জন্য লিখিতভাবে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। সংস্কারের বরাদ্দ দ্রুত আসার কথা। বরাদ্দ এলেই পুরনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন করা হবে।
হবিগঞ্জ/টিপু
আরো পড়ুন